NRS-এ সদ্যোজাতর ইঞ্জেকশনে ‘ছত্রাক’! বিপন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 10, 2024 | 3:38 PM

NRS হাসপাতালের SNCU ওয়ার্ডে ভর্তি ওই এক রত্তি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এক রত্তির প্রাণ। ইঞ্জেকশনের গায়ে যে ছত্রাক ছিল, তার প্রামাণ্য এসেছে TV9 বাংলার হাতেও। তবে NRS সূত্রের খবর, ইঞ্জেকশনের গায়ে ২০২৫ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ লেখা ছিল। 

NRS-এ সদ্যোজাতর ইঞ্জেকশনে ছত্রাক! বিপন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা
ইঞ্জেকশনে ছত্রাক!
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ফের কাঠগড়ায় NRS। সরকারি হাসপাতালে এক রত্তির জীবন নিয়েই ছেলেখেলা করার অভিযোগ।  শ্বাসকষ্টের নিরাময়ে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনেই ‘ছত্রাক’! অভিযোগ তেমনই। NRS হাসপাতালের SNCU ওয়ার্ডে ভর্তি ওই এক রত্তি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এক রত্তির প্রাণ। ইঞ্জেকশনের গায়ে যে ছত্রাক ছিল, তার প্রামাণ্য এসেছে TV9 বাংলার হাতেও। তবে NRS সূত্রের খবর, ইঞ্জেকশনের গায়ে ২০২৫ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ লেখা ছিল।

হাসপাতাল সূত্রে খবর,  ওই সদ্যোজাত জন্মানোর পর তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। তখন হাসপাতালের তরফ থেকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়াদের মধ্যেই ছিল সেই ওষুধ। কিন্তু ইঞ্জেকশনের ভাওয়ালের মধ্যে ছত্রাক দেখা যায়। কিন্তু কীভাবে স্টোর থেকেই সেই ছত্রাক যুক্ত ওষুধ চলে গেল ওয়ার্ডে? SNCU ওয়ার্ডে অনেক সদ্যোজাতকেই একসঙ্গে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে এই নজরদারি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, সরকারি হাসপাতালে যে ধরনের ব্যস্ততা থাকে, তাতে ছত্রাক চোখে নাই পড়তে পারত। সেক্ষেত্রে বড় অঘটনক ঘটতেই পারত।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী বলেন, “সদ্যোজাতর ক্রমাগত পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে সিনডেনাফিল ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। যাতে হৃদরোগে আক্রান্ত না হয়। যে কোনও ইঞ্জেকশনেই ছত্রাক থাকা উচিত নয়।”

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি পরিষ্কারভাবে আমাদের সামনে চলে আসবে। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে, যা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

অন্যদিকে, এএইচএসডি চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা বলেন, “এটা তো একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। বাচ্চাদের চিকিৎসায় এত বড় গাফিলতি। বাংলায় তো এখন সবই মনে হচ্ছে সম্ভব!”

 

Next Article