Gold Shop: নদিয়া ও পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি, এবার স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের
Gold Shop: বউবাজার এলাকায় প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছে। সরকার আগামী দিনে তাঁদের জন্য কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, তা নিয়েই স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
কলকাতা: একই দিনে প্রায় একই সময়ে স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার নদিয়া ও পুরুলিয়ার আউটলেটে ডাকাতির জের। বুধবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি। বউবাজার এলাকায় প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছে। সরকার আগামী দিনে তাঁদের জন্য কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, তা নিয়েই স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা মনে করছে, এর পিছনে একটা বড় গ্যাঙ কাজ করছে।
নদিয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় যে পদ্ধতিতে ডাকাতি করা হয়েছে, তা হার মানাবে কোনও থ্রিলার চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটকেও। কুড়ি মিনিটের একটা অপারেশন। প্রথমে দু’জন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকেন। নিয়ম মাফিক গেট বন্ধ করে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পিছনে ঢোকেন আরও ৯ জন। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গেট খুলে ভিতরে ঢোকেন। কর্মীদের ভয় দেখাতে শোরুমের মধ্যে গুলি চালান। তারপর সিসিটিভি-র হার্ড ডিস্ক খুলে নেওয়া হয়। চলে লুঠপাট।
মূল্যবান পাথর, সোনা-হীরে-রূপোর গয়না-সহ সবই লুঠ করে নিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে, ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে ওই স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার পুরুলিয়ার আউটলেটেও ডাকাতি হয়। একই পদ্ধতিতে। দুটি আউটলেট মিলিয়ে ৮ কোটির গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজ্যে গত কয়েক মাসে ছোটখাটো একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বারাকপুরের পর শক্তিগড়েও সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। এইভাবে পরপর ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
গতকাল যে স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থায় ডাকাতি হয়েছে, তা রাজ্য তথা দেশের মধ্যে অন্যতম। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যদি রাজ্যের প্রথম সারির সোনার দোকানেই এত বড় ভয়াবহ ডাকাতি দিনেদুুপুরে হয়ে থাকে, তাহলে ছোটখাটো সোনারপ দোকানগুলির নিরাপত্তা কোথায়? ঘটনায় আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এবার নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হলেন। যদি সোনার দোকানগুলিতে আলাদা করে কোনও নিরাপত্তা, কোনও বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তার আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রদফতরের কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা।