কলকাতা: সমস্যা বা প্রয়োজন নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে পড়ুয়ারা, জানাতে পারছে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা। পড়ুয়াদের মুখ থেকে তাদের সমস্যার কথা শোনার জন্যই ‘আমনে-সামনে’ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিন অষ্টম শ্রেনির পড়ুয়া ঐশিকার সঙ্গে কথা বলার পরই আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেন বোস। পড়ুয়া সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে জেনে তৎক্ষণাৎ দেওয়া হয় টাকা। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে অভিভূত ঐশিকা।
সারা রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়ারা রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। গত বুধবারের পর আজ শুক্রবার দ্বিতীয় রাজভবনে পডুয়াদেপ মুখোমুখি হন বোস। এদিন মোট ৬জন পড়ুয়া কথা বলতে এসেছিল তাঁর সঙ্গে। তাদের মধ্যেই ছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঐশিকা।
জানা গিয়েছে, কলকাতার নিউআলিপুরের বাসিন্দা ঐশিকা ও তার বাবা একটি সচেতনতামূলক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রচার চালায় তারা। কন্যা সন্তানদের জন্যই এই সচেতনতামূলক প্রচার চালায় তারা। এ কথা এদিন রাজ্যপালকে জানায় ঐশিকা। তখনই আর্থিক অনুদানের কথা বলেন রাজ্যপাল। ঐশিকা জানিয়েছে, তার বাবার অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন রাজ্যপাল, যা ওই সচেতনতামূলক কাজে লাগানো হবে।
এদিন উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সৌমজিৎ সাহা, কলকাতার সংস্কৃত কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারুক আহমেদ। কলেজের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে ফারুক। তারা প্রত্যেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা তুলে ধরে রাজ্যপালের কাছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দীপায়ন দত্ত রাজ্যপালকে জানিয়েছে ঠিক সময়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না।