কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট হোক বা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। মঙ্গলবার কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে ‘হিংসামুক্ত’-‘দুর্নীতিমুক্ত’ বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। রাজভবনে ২২ শ্রাবণ অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যকে রীতিমতো তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন তুলে রাজ্যপাল বলেছেন, “গুরুদেবের কথায় চিত্ত যেথা ভয় শূন্য। আমি এটা অনুভব করি। এখন চিত্ত ভয় যুক্ত। আর মাথা হেঁট হয়ে আছে।” যদিও, পাল্টা উত্তর দিতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল। বোসকে কড়া জবাবও দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন যেখানে যেখানে হিংসা-অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে সেই সকল জায়গায় নিজে গিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। অ্যান্টিকোরাপসন সেল থেকে পিস রুম একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে সি ভি আনন্দকে। এবার রাজ্যপাল আরও একবার তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।
বোসের মন্তব্য, গুরুদেব যে বাংলা চেয়েছিলেন তৈরি করতে এটা সেই বাংলা নয়। এখানে হিংসা ও দুর্নীতি ভরে গিয়েছে। যার শেষ হওয়া দরকার। তিনি বলেন, “গুরুদেবের নামে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। হিংসা ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে হবে।”
যদিও, পাল্টা রাজ্যপালকে জাবাব দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য রাজ্যপালের ভাল করে বাংলা শেখা উচিত। রাজ্যপালকে ভাল করে বাংলা শেখা উচিত। রবীন্দ্রনাথ কবিতার লাইন ব্যবহার করার আগে তা বোঝা উচিত। অপরদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “রাজ্যপাল বিজেপির সুরে কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা যদি গ্রহণ করতেন তাহলে আজ বিজেপি-র মুখাপাত্র হতে হত না। আর মাথা হেঁট হওয়ার সময় সানগ্লাস যেন পড়ে না যায়।”
আজ কবিগুরুর স্মরণে রাজভবনে ২২ শ্রাবণ অনুষ্ঠান ছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ বিশিষ্টজনরা। রবি ঠাকুরের প্রতীকী ছবিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বক্তৃতা রাখেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায় উঠে আসে কাবুলিওয়ালা সহ রবি ঠাকুরের একাধিক লেখা ও কাজের প্রসঙ্গ।