Governor C V Ananda Bose: ‘আমি স্তম্ভিত! শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তি এ কাজ করেছেন’

Sourav Dutta | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 24, 2024 | 7:02 AM

Governor C V Ananda Bose on Calcutta High court Verdict: মঙ্গলবার সল্টলেকের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বলেন, "আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।"

Governor C V Ananda Bose: আমি স্তম্ভিত! শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তি এ কাজ করেছেন
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এসএসসি-র ২০১৬ সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। এরপর থেকেই রাজ্য-রাজনীতিতে পড়েছে আলোড়ন। চাকরিহারারা একদিকে যেমন রাস্তায় নেমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনের, অপর দিকে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

মঙ্গলবার সল্টলেকের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ না করেই কড়া ভাষায় তাঁকে বেঁধেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বলেন, “আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।” একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে আমরা যা শুনেছিলাম তা এখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গেল।” এখানে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ের পর পার্থকে নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও। তিনি বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিছু ব্যক্তির পাপের ফল এখন ভোটের ভোগ করতে হচ্ছে দলকে। আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এবার রাজ্যপালের মুখেও শোনা গেল সেই একই প্রসঙ্গ।

এখানেই কিন্তু শেষ নয়। রাজ্যপাল বোস বললেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে এখন যেটা আমাকে ভাবাচ্ছে তা হল,বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দি থেকে দুর্নীতি, হিংসা দূর করার জন্য‌‌ই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করি।”

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ নতুন নয়। পরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকেই ৬ জন উপাচার্যকে বেছে নেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। তবে এ দিনের এসএসসি-র পর রাজ্যপাল যেভাবে উচ্চ-শিক্ষা নিয়ে মন্তব্য করলেন তা কি পরোক্ষে রাজ্যকে খোঁচা দিলেন তিনি? সেই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

Next Article