Lok Bhavan: লোকভবনের দক্ষিণ পশ্চিম গেটের নাম বদল রাজ্যপালের, কার নামে করলেন?
Bankim Chandra Chatterjee: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, বন্দে মাতরমের দেড়শো বছর উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর আগে লোকভবনের উত্তর গেট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রাখেন সিভি আনন্দ বোস। রবীন্দ্রনাথকে সম্মান জানাতে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর উত্তর গেটের নাম 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট' রাখেন রাজ্যপাল।

কলকাতা: বন্দে মাতরমের সার্ধশতবর্ষ। আর বন্দে মাতরমের দেড়শো বছরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। সংসদে বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনারও আয়োজন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বন্দে মাতরমের স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। লোকভবনের দক্ষিণ পশ্চিম গেটের নাম সাহিত্য সম্রাটের নামে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। লোকভবনের দক্ষিণ পশ্চিম গেটের নাম হল ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, বন্দে মাতরমের দেড়শো বছর উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর আগে লোকভবনের উত্তর গেট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রাখেন সিভি আনন্দ বোস। রবীন্দ্রনাথকে সম্মান জানাতে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর উত্তর গেটের নাম ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট’ রাখেন রাজ্যপাল।
২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আনন্দ বোস। রাজ্যপাল হওয়ার পর বাংলা ভাষার প্রতি তাঁদের টানের কথা জানান। এমনকি, লোকভবনে সরস্বতী পুজোতেও বাংলা ভাষা শিখতে ‘হাতেখড়ি’-ও দেন রাজ্যপাল বোস। বাংলায় বই লেখার ইচ্ছাপ্রকাশও করতে দেখা যায় তাঁকে।
কিছুদিন আগে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের জন্য একাধিক গ্রামে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেইসময় ছোলা সেদ্ধ ও চপ খেয়ে দোকানদারকে বাংলায় বলেন, “খুব ভাল হয়েছে।” তাঁর পদবী বোস হওয়ার পিছনেও বাংলা যোগ রয়েছে। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সুভাষচন্দ্র বসুর অনুগামী। বাংলার এই বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতেই সন্তানদের নামের সঙ্গে বোস পদবী জুড়ে দিয়েছিলেন সিভি আনন্দের বাবা। এই বাংলার ভোটারও হতে চান আনন্দ বোস। সেখানে লোকভবনের গেটের নাম বাংলার মনীষীদের নামে রেখে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রাজ্যপাল।
