
কলকাতা: আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তাঁকে প্রেভেন্টিভ গ্রেফতারির নির্দেশ। ‘বিস্ফোরক’ হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশই দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চাপানউতোর। ৬ তারিখ বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন হুমায়ুন। তা নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছে না। বিতর্ক দানা বাঁধতেই মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী একদিন আগেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন ৬ তারিখ রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক মুসলিমদের দখলে থাকবে। তাঁর এই মন্তব্য়ের আবহে রাজ্যপালের নতুন নির্দেশে জল আরও ঘোলা হতে শুরু করেছেন।
তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হুমায়ুন বলছেন, “রাজ্যপাল ওনার এক্তিয়ারের বাইরে কথা বলছেন। এটা আমি মনে করি বাংলায় বাঙালিদের ভাষায় বিজেপির দালালি করা। রাজ্যপাল তো আইন-শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্বে নেই। আইন-শৃঙ্খলা দেখার জন্য একটা নির্বাচিত সরকার রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে, পুলিশ মন্ত্রী রয়েছে, সেই জেলার এসপি, ওসি, আইসিরা রয়েছেন। যখন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে তখন ওনারা গ্রেফতার করে নেবেন। অসুবিধা কী? আগাম গ্রেফতার করতে হবে কার স্বার্থে? পুলিশ যদি প্রমাণ পায় আমি কোনও জায়গায় আইন ভাঙছি, আমার দ্বারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় তাহলে নিশ্চয় পুলিশের এক্তিয়ার আছে আমাকে গ্রেফতার করার।”
এদিকে কোন জমিতে বাবরি মসজিদ হবে তা নিয়ে সাময়িক জটিলতাও তৈরি হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। যদিও হুমায়ুন এখন বলছেন, “জমি রেডি আছে। শনিবার বেলা ১২টার সময় গোটা পৃথিবীর লোক দেখবে শিলান্যাসের অনুষ্ঠান।” এদিকে ইতিমধ্য়েই জেলা সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গিয়েছেন বহরমপুরেও। রয়েছে সভা। হুমায়ুন জানাচ্ছেন তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এদিন টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি তাই সেখানে না যাওয়ার কিছু নেই।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তার প্রসঙ্গ উঠলেও তা নিয়ে আগাম কোনও কথা বলতে নারাজ তিনি।