কলকাতা: সর্বভারতীয় রাজনীতিতে, বেশির করে বিরোধী রাজনৈতিক পরিসরে আজকের দিনটি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর সাংসদ রইলেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। খারিজ হয়ে গিয়েছে সাংসদ পদ। আর এমন একটা দিনেই কালীঘাটে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী (Kumarswami)। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থানের দিক থেকে কুমারস্বামীর কালীঘাটে আসা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু কুমারস্বামী কার্যত নিঃশব্দে এলেন, আর চলেও গেলেন। আধ ঘণ্টারও কম সময়ে থাকলেন কালীঘাটে। সূত্রের খবর, কর্নাটকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য মমতাকে (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানাতে কালীঘাটে এসেছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক পরিসরে এই সাক্ষাৎ আগামী দিনে কতটা প্রভাব ফেলে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিগত কয়েকদিনের কর্মসূচিতে কুমারস্বামীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ আরও গুঞ্জন বাড়িয়েছে। গত সাত দিনে তিন জন আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে দেখা করলেন মমতা। বৈঠক করলেন। প্রথমে সপা নেতা অখিলেশ যাদব আসলেন কলকাতায়। তারপর মমতা গেলেন পুরীতে নবীন পট্টনায়েকর সঙ্গে দেখা করতে। আর এবার মমতার সঙ্গে দেখা করতে এলেন কুমারস্বামী। স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর ছিল কুমারস্বামী-মমতা বৈঠকের দিকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃতীয় ফ্রন্টের গঠন ঘিরেও চর্চা তুঙ্গে। কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে সম্ভব্য আলোচনা ঘিরে জল্পনা বাড়ছিল।
কিন্তু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হতেই যেন গোল বাধল। দেশের রাজনীতি কেমন যেন মোদী আর রাহুল এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল। তৃণমূল শিবির থেকে যেমন আবার রাহুলের নাম না করলেও, মোদী বিরোধিতার পথে হাঁটা হল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা মেনেই কি এ দিন কোনও তৃতীয় জোটের সওয়াল থেকে বিরত রইলেন মমতা ও কুমারস্বামী দুজনেই। কুমার স্বামীর এদিনের ঝটিতি সফর ঘিরে কিছু প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেল। এখন দেখার আগামী দিনে এই নিয়ে আরও নতুন কোনও আলোচনার পথ বেরিয়ে আসে কি না।