কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা মানতে রাজি হননি। এবার স্যালাইন কাণ্ডের জেরে রদবদল হল স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো না হলেও, দায়িত্ব থেকে সরানো হল স্বাস্থ্য দফতরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি চৈতালী চক্রবর্তীকে। বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য সচিবের অধীনে যে সব সচিবরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম চৈতালী চক্রবর্তী। এতদিন পর্যন্ত ড্রাগ অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট বিভাগের সচিব ছিলেন তিনি। অর্থাৎ ওষুধ সংক্রান্ত যত বিষয়, সবটাই ছিল তাঁর হাতে। কোন কোন ওষুধ ব্যবহার করা হবে, কোন সংস্থাকে ওষুধের বরাত দেওয়া হবে, সবটাই দেখতেন তিনি। তাঁকেই এবার ওই বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বদলে ওষুধ সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভাঞ্জন দাসকে।
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও তিন প্রসূতি। মেদিনীপুর থেকে কলকাতার এসএসকেএমে আনা হয়েছে তাঁদের। সেই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে, স্যালাইনে সমস্যা থাকাতেই এই ঘটনা। পরবর্তীতে আরও অনেক তত্ত্ব উঠে এলেও, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার ওষুধে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার আরও এক পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য দফতর।
তবে কারণ যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, ওই মিটিংয়ে মুখ্য়সচিবের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও, সূত্রের খবর স্বাস্থ্য সচিবের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করে বিজেপি। তারপরই বিভাগ থেকে সরানো হল স্পেশাল সেক্রেটারিকে।