AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Roddur Roy: ‘এতগুলো ধারায় মামলা কেন?’ আদালতে প্রশ্ন আইনজীবীর, পুলিশ হেফাজতে রোদ্দুর

Roddur Roy: মঙ্গলবার গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Roddur Roy: 'এতগুলো ধারায় মামলা কেন?' আদালতে প্রশ্ন আইনজীবীর, পুলিশ হেফাজতে রোদ্দুর
রোদ্দুর রায় (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 6:24 AM
Share

কলকাতা : একটি, দুটি নয়, ৯ টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। একটি অভিযোগে কেন এতগুলো ধারায় মামলা হল, আদালতে সেই প্রশ্নই তুলেছেন রোদ্দুরের পক্ষের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর জামিনের দাবিতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবীরা। রোদ্দুর রায়ের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ময়ূখ মুখোপাধ্য়ায়ের এজলাসে ছিল রোদ্দুর রায়ের মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার রোদ্দুর রায়ের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ইয়াসির। এ দিন আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন রোদ্দুর রায়ের আইনজীবী। তাঁদের দাবি, কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে এতগুলো ধারায় মামলা হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর রোদ্দুর রায়ের জামিন নিয়ে বিরোধিতা করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩ (এ), ১২০ (বি), ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৫০১, ৫০৫ এবং ৫০৯ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। বুধবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। মূলত আদালতে এ দিন দু পক্ষের সওয়াল-জবাব চলে। আদালত কক্ষে তৃণমূলের পক্ষের লোকজনের এত বেশি চীৎকার চলে যে শুনানিই কার্যত স্পষ্ট হচ্ছিল না। দু পক্ষের কথাই এ দিন শুনেছেন বিচারপতি। তবে রোদ্দুর রায় আদালতে প্রবেশের সময় কোনও কথা বলেননি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে রোদ্দুর রায়কে। লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা মঙ্গলবার গোয়ায় গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে অনেকেই। সমাজের একাংশের দাবি, রোদ্দুরকে গ্রেফতার করে বাক স্বাধীনতায় রাশ টানতে চাইছে সরকার।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে বেশ কিছু কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাঁর নিশানায় ছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রও, ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কবিতাও।