High Court: বাড়ি ফিরেও শান্তি নেই মানিকের, আবারও হাজির হতে হবে হাইকোর্টে
Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। যে সময় ওই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। পরে জামিন পান তিনি। এবার ফের বিপাকে পড়তে চলেছেন মানিক! তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। শুধু মানিক নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই।
নিয়োগ মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও রত্না চক্রবর্তী বাগচীর। কিন্তু রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে রাজভবনের তরফে অনুমতি দেওয়া হল। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। সোমবার আদালত বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন চার্জশিটে উল্লেখ থাকা সব অভিযুক্তকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। যে সময় ওই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুধু মানিক নয়, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে একে একে তিনজনই জামিন পান।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের হয়ে চাকরিপ্রার্থীকে কাছ থেকে টাকা তুলতেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী।
