Sonarpur Child Death: ধারাল অস্ত্র দিয়ে নাতনিকে খুন! সোনারপুর-কাণ্ডে সব স্বীকার করলেন অভিযুক্ত দাদু

Sonarpur News: সেই সন্ধ্যায় ঠিক কী হয়েছিল? শিশুর শরীরের ক্ষতচিহ্ন, নেপথ্য়ে হাত কার? কেনই বা সেদিন চিৎকার করে উঠেছিল সে? ঘটনার পর থেকেই ঠিক এই প্রশ্নগুলিই ভাবাচ্ছিল পুলিশকে। যার উত্তর পাওয়া গেল দাদু গ্রেফতার হতেই। শিশুকন্যা খুনে নতুন মোড়।

Sonarpur Child Death: ধারাল অস্ত্র দিয়ে নাতনিকে খুন! সোনারপুর-কাণ্ডে সব স্বীকার করলেন অভিযুক্ত দাদু
সোনারপুরে চাঞ্চল্যImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Oct 20, 2025 | 3:42 PM

সোনারপুর: সারা শরীরে ক্ষত। চার বছরের শিশুর এহেন পরিণতি? সকাল থেকে এই ঘটনা ঘিরে পারদ চড়েছিল সোনারপুরে। পুলিশের নজরে মূল অপরাধী হিসাবে ছিলেন একজনই। ওই শিশুর দাদু। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে শিশুর পরিচারিকা ও দিদাকেও। আর তারপরেই তদন্তে এসেছে নতুন মোড়।

কী ঘটেছে?

রবিবার সন্ধ্য়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল সোনারপুর থানার অন্তর্গত কোদালিয়ার কদমতলা এলাকায়। হঠাৎ করেই একটি বাড়ি থেকে শোনা যায় এক শিশুর আর্তনাদ। ওই চিৎকার শুনে ছুটে যায় পাড়ার লোকজন। ঢুকে পড়ে বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে, শরীরে ক্ষত, রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রাই ওই শিশুকে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

সেই সন্ধ্যায় ঠিক কী হয়েছিল? শিশুর শরীরের ক্ষতচিহ্ন, নেপথ্য়ে হাত কার? কেনই বা সেদিন চিৎকার করে উঠেছিল সে? ঘটনার পর থেকেই ঠিক এই প্রশ্নগুলিই ভাবাচ্ছিল পুলিশকে। যার উত্তর পাওয়া গেল দাদু গ্রেফতার হতেই। শিশুকন্যা খুনে নতুন মোড়।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে পড়ে সব স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দাদু। পুলিশকে তিনিকে জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে হাত রয়েছে তাঁরই। রবিবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের নাতনিকে খুন করেছেন দাদু। এমনকি নাতনিকে কারওর সঙ্গে খেলতে দিতেন না তিনি। কার্যত বাড়িতেই বন্দি করে রাখতেন। কিন্তু কেন এমনটা করলেন তিনি? পুলিশের অনুমান, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ওই অভিযুক্ত। বলে রাখা প্রয়োজন, একই অনুমান স্থানীয়দেরও। তারা জানিয়েছেন, কোনও শিশুকেই সহ্য করতে পারতেন না অভিযুক্ত। বড্ড খিটখিটে, বদ মেজাজি, নাতনিকেও সারাদিন ঘরেই আটকে রাখতেন। ওই অভিযুক্তের মোট দু’জন কন্যা সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘিরেও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, প্রথম কন্যাকে তিনিই খুন করেছিলেন। অবশ্য, এই নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

উল্লেখ্য, নিহত শিশুর মা কলকাতার এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত। বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। প্রতিদিনের মতো রবিবারও কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই সময়কালে বাড়িতে দাদু, দিদা ও এক মহিলা পরিচারিকার সঙ্গেই ছিল ওই শিশুকন্য়া। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। ইতিমধ্য়েই নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে পুলিশ।