
কলকাতা: দুর্গাপুজোতেও চলেছিল ব্যাপক ধরপাকড়। কালীপুজোতেও দেখা গেল একই ছবি। মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ থেকে হেলমেট ছাড়াই বাইক চালানোর অভিযোগ, সবই দেখা গেল কালীপুজোর রাতে। মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে আটক করা হল ৯৯ জনকে। একইসঙ্গে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোয় আটক ১১৬ জন। হেলমেট ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে ফাইন দিতে হল ৩৩১ জনকে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কারণে আটক করা হল ১৫৬ জনকে।
অন্যদিকে বাগবাজার থেকে যাদবপুর, উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা রাত যত বাড়ল ততই বাড়ল শব্দ দাবনের তাণ্ডব। শুধু কালীপুজোর রাতেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮৫২ কেজি বাজি। আটক করা হয়েছে ৪৫১ জনকে। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর সময় চতুর্থী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতায় ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার দায়ে জরিমানা করা হয়েছিল মোট ৬ হাজার ২৮৪ জনকে।
এবার কালীপুজোতে রাত ৮ থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি যে নির্দেশিকা এসেছিল তাতে বিশেষ কর্ণপাত করতে দেখা গেল না জনতাকে। বাইপাস লাগায়ো এলাকা থেকে জনবহুল এলাকা, পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই কালীপুজোকে দিনভর দেদার ফাটল শব্দবাজি। সন্ধ্যা থেকে রাত গড়াতেই ভেঙে গেল সব ব্যারিকেড। যার জেরে পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই রাত বাড়তেই শহরের কোনও কোনও জায়গায় শব্দের মাত্রা পৌঁছাল ৮৫ ডেলিবেলে। আবার কোথাও তা ১০০ ছুঁইছুঁই। অভিযোগ, শহরজুড়ে যত বাজি ফাটল তার অর্ধেকের বেশিই সুবজ বাজি নয়। ফলে রাত বাড়তেই দূষণের মাত্রাও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গেল। তবে শুধু শব্দবাজির দাপট নয়, একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ল সাউন্ড বক্সের আওয়াজও। তবে এ ছবি যে শুধু কালীপুজোর দিন দেখা গেল এমনটা নয়, এবার তো দিন পাঁচেক আগে থেকেই সুর চড়িয়েছিল শব্দ দানব। কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন এলাকা তো বটেই, কমবেশি সব জেলাতেই দেখা গেল একই ছবি।