Howrah-Sector V Metro History: ব্রিটিশরা পারেনি, গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো চালিয়ে দেখালেন মোদী!
Kolkata East-West Metro: তথ্য বলছে এটাই হয়তো সবচেয়ে ধীরগতিতে কাজ হওয়া মেট্রো লাইন। যেখানে প্রস্তাব থেকে সম্পূর্ণ লাইন তৈরি করা, পুরোটা করতে সময় লেগে গিয়েছে একটা গোটা শতাব্দী।

২০০৮ থেকে ২০২৫। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ প্রায় ১৭ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের অনুমোদন থেকে সম্পূর্ণরূপে চালু হতে লেগে গেল প্রায় ১৭ বছর। সে দিক দিয়ে দেখলে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কপালটাই খারাপ। কেন বললাম এই কথা? ইতিহাসের কথা না হয় পরেই হবে। তবে এই মেট্রো করিডর দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম রেল স্টেশন হাওড়াকে জুড়ে দেবে অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন শিয়ালদহ ও কলকাতার আইটি হাব সেক্টর ফাইভের সঙ্গে।
কিন্তু কলকাতায় পশ্চিমের হাওড়া থেকে পূর্ব দিকের শহরতলির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে মেট্রো রেলের পরিকল্পনা কবে থেকে শুরু হয় জানেন কি? আইআইএম কলকাতার করা এক রিসার্চ বলছে, ১৯২১ সালে পূর্বের হাওড়া থেকে পশ্চিমের শিয়ালদহ হয়ে একটি ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে লাইনের পরিকল্পনা করে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়র স্যর হার্লে হিউ ডার্লিম্পল-হে এই রেল লাইনের প্রস্তাব দেন।
লন্ডন টিউবের আদলে কলকাতা টিউব রেল। সেই সময় টেমস নদীর নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে টিউব রেল তৈরি হচ্ছিল। আর সেই একই পরিকল্পনা করা হয় কলকাতার জন্যও। তবে, কলকাতার মাটি নরম। ফলে এখানে সেই সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গেলে খরচ পড়ত লন্ডনের প্রায় ৬ গুণ। আর সেই কারণেই মাটি পরীক্ষা করার পর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিকল্পনা বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার।
পরবর্তীতে কলকাতায় মেট্রো লাইনের পরিকল্পনা হাতে নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। বিধানচন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে তাঁর পরিকল্পনায় সায় দেয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। যদিও সেই সময় ইস্ট-ওয়েস্ট লাইন নয়। উত্তর-দক্ষিণ লাইনকেই তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে কলকাতা মেট্রোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ইন্দিরা গান্ধী নিজেই।
পরিকল্পনা শুরু ১৯২১ সালে। সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হতে লেগে গেল প্রায় ১০৪ বছর সময়। তথ্য বলছে এটাই হয়তো সবচেয়ে ধীরগতিতে কাজ হওয়া মেট্রো লাইন। যেখানে প্রস্তাব থেকে সম্পূর্ণ লাইন তৈরি করা, পুরোটা করতে সময় লেগে গিয়েছে একটা গোটা শতাব্দী। আর ব্রিটিশ থেকে শুরু করে বিধান রায়, কেউই পারেননি গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো চালাতে। অবশেষে কাজ শেষ করলেন মোদীই!
