
কলকাতা: আগামী ১৫ অগস্টের পর নতুন দল গঠন করবেন হুমায়ুন কবীর। বুধবারই সে কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে নেত্রীর নাম নিতে ভুলছেন না। বারবার বলছেন নেত্রী অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই জয়ী হবেন, আর তিনি শুধু মমতার হাত শক্ত করবেন। তবে তা কীভাবে হয়? সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় নিজের আধিপত্য বাড়িয়েও তৃণমূলকে সমর্থনের কথা বলছেন কীভাবে? প্রশ্ন উঠছে, ঘুরিয়ে তৃণমূলকেই চাপে ফেলতে চাইছেন হুমায়ুন!
নতুন দল তৈরি করে বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী দেবেন, এটাই হুমায়ুন কবীরের লক্ষ্য। আগামী ১৫ অগস্টের পর সেই দল খুলবেন তিনি। তবে তাঁর কথায়, ‘নেত্রীই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। নেত্রীর কোনও বিকল্প নেই। নেত্রীর আমার মতো লোকের দরকার হবে না।’ আবার তিনি বলছেন, “নেত্রীকে ক্ষমতায় রেখেই যাতে ওই সব জায়গায় (মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া) ভোটাররা যোগ্য সম্মান পায়, সেটাই আমার চেষ্টা।”
তাহলে চাপটা কাকে দিতে চাইছেন? হুমায়ুনের বক্তব্য, জেলার নেতারা খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশই মানতে চাইছেন না, তাই তিনি ক্লান্ত। মানুষের কাছে মমতার দেওয়া উন্নয়ন পৌঁছচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর। আর সেই কারণেই নতুন দলের ভাবনা। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে বার্তা দিতেই নাকি এই দল গড়ার কথা ভেবেছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেন সংখ্যালঘুরা। আর সেই ভোটই কাটিয়ে নিলে, আদতে লাভটা কার হবে? যদিও হুমায়ুনের বক্তব্যকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “পিপীলিকা ডানা গজায় মরিবার তরে।” তবে তৃণমূল আদতে কী পদক্ষেপ করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।