কলকাতা: শহরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দম্পতির। ঘরের ভিতর মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর দেহ। আর সিলিং থেকে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুরের (Jadavpur) চিত্তরঞ্জন কলোনি এলাকায়। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এঁদের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম বৈজনাথ প্রসাদ (৬২) ও জলি প্রসাদ(৫৭)। যাদবপুরের চিত্তরঞ্জন কলোনির বাসিন্দা বৈজনাথের নিজের বাড়ি থেকেই তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জলির। আর গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বৈজনাথ। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেই বৈজনাথ আত্মঘাতী বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন। আর্থিক সমস্যার জেরে ও হতাশাগ্রস্ত হয়েই বৈজনাথ এই পদক্ষেপ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় আইটিসি-র গাড়ি চালক ছিলেন বৈজনাথ প্রসাদ। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ায় ৬-৭ মাস আগে তিনি কাজ হারান। অন্যদিকে, ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন জলি। ফলে সংসারে আর্থিক অনটন চরমে পৌঁছেছিল। তাঁদের একমাত্র মেয়ের অনেক আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আত্মীয়রা তাঁদের আর্থিক সাহায্য করতেন। যা নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বৈজনাথ। এর উপর জলি রোগের কারণে ইদানিং অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। অধিকাংশ সময় বৈজনাথকে বিরক্ত করতেন এবং তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। যা নিয়ে খুবই বিরক্ত ছিলেন ষাটোর্ধ্ব বৈজনাথ। এই বিরক্তি, হতাশা ও দুর্ভাবনা থেকেই তিনি স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে যাদবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে।