রাজনীতি ছেলেখেলা নয়, আর্মচেয়ার পলিটিক্স করতে আসিনি: সায়নী ঘোষ

"অভিনয় আমার প্রথম প্রেম। সেটা করেই এতদিন লোকে আমাকে চিনেছে। আমার দর্শকের একটা এক্সপেক্টেশন রয়েছে যে, সায়নীকে আবার কবে দেখা যাবে। যদি দারুণ কোনও ছবি, দারুণ কোনও চরিত্র থাকে, সেই লোভে হয়ত সায়নী আবার অভিনয় করবে।''

রাজনীতি ছেলেখেলা নয়, আর্মচেয়ার পলিটিক্স করতে আসিনি: সায়নী ঘোষ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2021 | 8:48 PM

কলকাতা: বড় পর্দা ও ছোট পর্দায় চুটিয়ে কাজ করলেও রাজনীতির ময়দানে তিনি নবাগতই বলা চলে। সেই সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এবার তৃণমূল যুব সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের ময়দানে হারলেও তাঁর অনমনীয় মনোভাব, হারের পরেও আসানসোলের মানুষের কাছে চলে যাওয়া, এসব থেকে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে তিনি সেলেব তকমার বাইরে বেরিয়ে রাজনীতি করতে চান। শনিবার এমন বড় পদ পেয়ে Tv9 বাংলাকে কী বললেন সায়নী?

রাজনীতির ময়দানে নতুন হয়েও সোজা তৃণমূল যুব সভাপতির পদ পেয়ে সায়নীর কথায়, “চ্যালেঞ্জ ছাড়া এগনো যায় না। যাঁরা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁরা তো আর রাজনীতিতে নতুন নন। তাঁরা জানেন কাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কার ওপর ভরসা করা যেতে পারে। আমার কাছে এটা একটা বিশাল বিশাল অপরচুনেটি।”

তৃণমূলের ‘থান্ডার গার্ল’ যোগ করেন, “যে পদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামলেছেন, সেই পদে বসার সুযোগকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে।” তাঁর কথায়, “আমি নিজের দেড়শো শতাংশ দিয়ে দলের জন্য কাজ করব, মা-মাটি-মানুষের জন্য কাজ করব। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কাজ করব।”

কিন্তু অভিনয় জগতের সঙ্গে রাজনীতিতে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ, দুটোকে ব্যালান্স করতে পারবেন? সায়নীর জবাব, “ব্যালান্সের কোনও বিষয় নেই। আর্ম চেয়ার পলিটিক্স করতে আসিনি। যাঁরা আমার প্রচার (নির্বাচনী) দেখেছেন, তাঁরা জানেন, সায়নী হ্যাজ ডান সাম সিরিয়াস বিজনেস আউট দেয়ার…। তাই আজকের যখন এই দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে, তখন আর ছেলেখেলার কোনও জায়গা থাকে না।”

যুব তৃণমূলের তারকা সভাপতির কথায়, “অভিনয় আমার প্রথম প্রেম। সেটা করেই এতদিন লোকে আমাকে চিনেছে। আমার দর্শকের একটা এক্সপেক্টেশন রয়েছে যে, সায়নীকে আবার কবে দেখা যাবে। যদি দারুণ কোনও ছবি, দারুণ কোনও চরিত্র থাকে, সেই লোভে হয়ত সায়নী আবার অভিনয় করবে। এই মুহূর্তে যে গুরু দায়িত্ব দেওয়া আমাকে দেওয়া হয়েছে, তাতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়েছি। খুব মন দিয়ে কাজটা করব।”

প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের আগে আগে এক টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কসভা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, বাঙালি এবং বাংলার জন্য সায়নীর আবেগ ও লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। তরুণ এই মুখকে দলে জায়গা দেন মমতা। কিছুদিনের মধ্যেই আসানসোল দক্ষিণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল।

আরও পড়ুন: তৈরি নতুন টিম, ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটাতে কি বেশি জোর দিচ্ছেন মমতা!

যদিও শেষমেশ বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয় তাঁকে। কিন্তু ভোটের পরাজয়ই যে গন্তব্যের শেষ মাইলফলক নয় তা দলকে বোঝাতে পেরেছেন তিনি। তাই ভোটে হারের পরও রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করলেন অভিনেতা সায়নী ঘোষ।