কলকাতা: ইডি (ED) ডাকলেও তিনি যাবেন কি যাবেন না তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে রওনা হন তিনি। সিজিও-তে ঢুকেছিলেন সকাল ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ। কিন্তু, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও ইডি দফতর থেকে বের হতে দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে। শেষে ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ সামলে বিকাল ৫টা ১১ মিনিট নাগাদ সিজিও থেকে বের হন বসিরহাটের সাংসদ। বাইরে তখন সাংবাদিকদের ভিড়। ছুটে আসছে একের পর এক চোখা চোখা প্রশ্নবাণ। কিন্তু, তাতে যেন একটুও ঘাবড়াতে দেখা গেল না নুসরতকে। চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। একের পর এক ক্যামেরার ঝলকানি, ভিড় ঠেলে হাতজোড় করে বেরিয়ে গেলেন সিজিও থেকে। সোজা চলে গেলেন লেক টেরেসের কাছে একটি হনুমান মন্দিরে। সিজিও থেকে বেরিয়ে ভর সন্ধ্য়ায় মন্দিরে কেন? উত্তরে বললেন, আজ তো মঙ্গলবার। আমি পুজো দিই।
মন্দিরের সামনেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাফ বললেন, “আমাকে যা যা প্রশ্ন করা হয়েছে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। যদি ওঁরা আবার আমাকে ডাকেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আমি আবার যাব। ওঁরা যা যা চেয়েছিলেন আমি সবটাই দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নাম জড়িয়েছে নুসরত জাহানের। মূল অভিযোগ, ‘সেভেন সেন্সেস’ কোম্পানির বিরুদ্ধে। একসময় এই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের টাকা হাতিয়ে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে নিজের নামে ফ্ল্যাট কেনারও অভিযোগ রয়েছে নুসরতের নামে। সেই মামলারই তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত আরও একাধিক কর্তাব্যক্তি রয়েছেন ইডি-র ব়্যাডারে। এখন দেখার তদন্তের জল কতদূর গড়ায়।