IMA-র বৈঠকে যোগে দিতে এসে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’, শান্তনু সেন হাতজোড় করে বললেন, ‘ফিরে যান…’

Tanmoy Pramanik | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 22, 2024 | 4:49 PM

IMA: প্রসঙ্গত, রবিবার IMA-এর সাধারণ সভা ছিল। সেই সভায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। আগামী দু'বছরের জন্য কয়েকটি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার কথা ছিল। আরজি কর কাণ্ডের পর যে উত্তরবঙ্গ লবির কথা উঠে এসেছে, সেই লবির পক্ষ থেকে সুশান্ত রায়রা সভাস্থলে আসেন।

IMA-র বৈঠকে যোগে দিতে এসে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে উত্তরবঙ্গ লবি, শান্তনু সেন হাতজোড় করে বললেন, ফিরে যান...
IMA-এর বৈঠকে গো ব্যাক স্লোগান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত IMA বেঙ্গলের সাধারণ সভা। আঙুল উঁচিয়ে তর্কাতর্কি শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় গোষ্ঠীর। তারপর আবার হাত জোড় করে একে অপরের উদ্দেশে আবেদন করতেও দেখা যায়। সভা শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবিকে শুনতে হল গো ব্যাক স্লোগান। উত্তরবঙ্গ লবির মাথায় সুশান্ত রায়কে সভাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যও বলা হতে থাকে।

সভাস্থলের সেই মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সুশান্ত রায়কে ঘিরে রয়েছেন শান্তনু সেনের অনুগামীরা।  সুশান্ত রায়কে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প…’ তখন পাশ থেকে শান্তনু সেনের সমর্থনে বাকি চিকিৎসকদের বলতে শোনা যায়, ‘কোনওটাই বানানো নয়…’ তখন শান্তনু সেনকে বাকি চিকিৎসকদের থামতে বলতে দেখা যায়। শান্তনু সেন হাত জোড় করেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের কাছে। তিনি তাঁকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার IMA-এর সাধারণ সভা ছিল। সেই সভায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। আগামী দু’বছরের জন্য কয়েকটি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার কথা ছিল। আরজি কর কাণ্ডের পর যে উত্তরবঙ্গ লবির কথা উঠে এসেছে, সেই লবির পক্ষ থেকে সুশান্ত রায়, সুশান্ত রায়রা সভাস্থলে আসেন। তাঁরা আসতেই সভাকক্ষে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এক পক্ষের বক্তব্য, যখন আরজি কর কাণ্ডের পর এত ধরনের অভিযোগ উঠছিল, তখন তাঁরা কেন মুখ খোলেননি, তাঁরা কেন প্রতিবাদ করেননি? থ্রেট কালচারে নাম জড়িয়ে থাকারও অভিযোগ ওঠে।

এই খবরটিও পড়ুন

সভাকক্ষের মধ্যেই কখনও আঙুল উঁচিয়ে, কখন হাত জোড় করে অনুরোধ করতেই দেখা যায়। শেষমেশ তিন জন সভায় ঢুকতে পারেননি। মালদহ মেডিক্যালের তাপস চক্রবর্তী, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রানা, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের জয়া মজুমদার। তাঁদের সভায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

চিকিৎসক নেতা অরূপ রায় বলেন, “তাপস চক্রবর্তী মালদহ মেডিক্যালের সভাপতি ছিলেন, তাঁকে আরজি করের ক্রাইম সিনে দেখা যায়। স্টেট কাউন্সিলরের মেম্বাররা ভীষণভাবে প্রতিরোধ করেছেন।”

Next Article