AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

১৬ ঘণ্টা পর মুমূর্ষু কিশোরের ঠাঁই হল হাসপাতালের বেডে! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও চরম ভোগান্তি

এই ঘটনা প্রথম থেকেই নজরে রেখেছিল TV9 বাংলা। আপাতত হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার চিকিৎসা শুরু হবে অতনুর। কীভাবে কী করা হবে সে বিষয়ে এদিন কথা বলবেন চিকিৎসকরা।

১৬ ঘণ্টা পর মুমূর্ষু কিশোরের ঠাঁই হল হাসপাতালের বেডে! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও চরম ভোগান্তি
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jan 25, 2021 | 9:01 AM
Share

কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মুমূর্ষু ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল-নার্সিংহোমে ঘুরে বেড়াতে হল পরিবারকে। ১৬ ঘণ্টা পর অবশেষে রাত ১২টা ১৫ নাগাদ এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি নেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতনু সিটকে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই ফুটে উঠেছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অমানবিক রূপও।

কী ঘটেছিল

নামখানার অতনু সিট ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। টোটো দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, অতনুর কিডনিতে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে হবে। কাকদ্বীপ হাসপাতালে সে পরিকাঠামো না থাকায় রেফার করা হয় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। কিন্তু হাত তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে নাকে নল লাগানো ছেলেকে নিয়ে পরিবার ছোটে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানেও সেই পুরনো ‘রেফার রোগ’। ভর্তি নেওয়া হয়নি ওই কিশোরকে।

আরও পড়ুন: সিবিআই নাকি আজ রেড করত ভাইপোর বাড়িতে: বিস্ফোরক সায়ন্তন

বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে একবালপুরের নার্সিংহোমে গিয়ে

নেতাজি সুভাষ নার্সিংহোমে অতনুকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার করা দরকার। আর সে জন্য বিরাট অঙ্কের টাকার ফিরিস্তিও শোনানো হয়। এরপরই অসুস্থ কিশোরের পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি দেখায়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তালিকায় তাদের নাম এখনও নথিভুক্ত হয়নি। তাই এই কার্ড তারা নেবে না। এদিকে ওই কিশোর তখন ধুঁকতে শুরু করেছে।

এবার গন্তব্য এসএসকেএম

পরিবার বুঝতেই পেরেছিল, একবালপুরের নার্সিংহোমে টাকা না দিলে কোনও চিকিৎসাই হবে না। এরপরই তারা এসএসকেএম হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সিট পরিবারকে। কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরেই পড়ে থাকতে হয় ওই কিশোরকে। বহু কাকুতি মিনতির পর অবশেষে রাত ১২টা ১৫ নাগাদ এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি নেওয়া হয় কিশোরকে। সোমবার তার চিকিৎসা শুরু হওয়ার কথা।