কলকাতা: ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করায় পুলিশি হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি নওশাদ সিদ্দিকীর। রবিবার গড়ফা থানা থেকে বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন নওশাদ। বলেন, ভোট যত এগোবে, এগুলিও বাড়তে থাকবে। জয়নগর যাওয়ার পথে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও এক ব্যক্তির সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। গত ১৪ নভেম্বরের ঘটনা। ইএম বাইপাসে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সে সময় গাড়িতেই ছিলেন আইএসএফ বিধায়কও। গড়ফা থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় এবং থানায় তলব করা হয় নওশাদকে। রবিবার সেই তলবেই হাজিরা দেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গড়ফা থানা থেকে বের হন বিধায়ক।
আর সেখান থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক নওশাদ সিদ্দিকী। বলেন, “আবার ডাকা হবে কি না বলতে পারছি না। কারণ এখানকার যাঁরা আধিকারিক, এটা তো তাঁদের হাতে না। উপরতলার ব্যাপার। আমিও তো একটা ইমেল করেছিলাম। জানতে চাইলাম। বললেন তদন্ত চলছে। আসলে আমার নামে কেউ কিছু বললে সেটা নিয়ে হবে। এটাই বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবস্থা। ব্যাপারটা আর কিছু না। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আর এসব ছোটখাটো জিনিসগুলো পাবে, আমাকে এনে বসিয়ে রাখবে।”
নওশাদের দাবি, এদিন তাঁকে টুকটাক কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। থানার ভিতর বসে বিশ্বকাপের ফাইনালও দেখেছেন বেশ কিছুটা সময়। আবারও কি ডাকা হতে পারে তাঁকে? নওশাদের জবাব, “ডাকতে পারে, আসব, চা খাব। তবে আমাকে প্রাণে মারার জন্য এসব করা হয়েছে নাকি অন্য কোনও অভিসন্ধি ছিল সেটা নিয়ে পুলিশ যদি তদন্ত না করে কোর্টে যেতে পারি।” এরপরই কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে নওশাদ বলেন, “কেস দিয়ে, হয়রানি করে নওশাদ সিদ্দিকীকে আটকাতে পারবে না। আগামিদিনে ডায়মন্ড হারবারে দেখা হবে।”