কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা। প্রতি বছর তৃণমূলের নেতারা ডাক পান ওই ভাইফোঁটায়। তাঁদের ফোঁটা দেন মমতা। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে আসেন একের পর এক মন্ত্রী, নেতা, বিধায়ক। এসেছিলেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, অরূপ বিশ্বাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিদি প্রত্যেক বছর ভাইদের ডাকেন। দিদির এই যে ভাইফোঁটা, এর কোনও তুলনা নেই। প্রত্যেক বছর এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকি যে কখন দিদির কাছে যাব। আর দিদির হাত থেকে ফোঁটা নেব।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস নয়েক বিজেপিতে ছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে ত্রিপুরার আগরতলায় এক সভায় তাঁর হাতে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যাওয়া যে তাঁর ভুল ছিল, এদিন মমতার কাছ থেকে ফোঁটা নিয়ে বেরনোর সময় বললেন রাজীব। তাঁর কথায়, “প্রত্যেকের জীবনেই কখনও না কখনও অঘটন ঘটে। সেরকম আমার জীবনে কয়েকটা মাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর জন্য আমি অনুতপ্ত। আমি ক্ষমাও চেয়েছি। বারবার বলেছি, সেটা আমার ভুল ছিল। আর মানুষ যদি ভুলটাকে উপলব্ধি করে সঠিক পথে চলতে পারে, সেটাই আসল মানুষের পরিচয়।”
তৃণমূলে এখন তিনি সক্রিয় কি না জানতে চাওয়া হলে রাজীব বলেন, “আমি সক্রিয়ই রয়েছি। এখন মেদিনীপুরের উপনির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছি। দল যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করেছি। আগামী দিনেও করব। দিদির সঙ্গেই থাকব। দিদি যা বলবেন করব।”
এদিন আবার অন্য মেজাজে দেখা গেল পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফোঁটা নিতে এসেছিলেন। পরনে ধুতি, পাঞ্জাবি। এদিন রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা বলবেন না বলে জানিয়ে ফোঁটা নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলেন কলকাতার মেয়র।