কলকাতা: সমাবর্তন উৎসব। আর ঠিক তার আগের দিন অপসারিত উপাচার্য। এই আবহেই রবিবার সম্পন্ন হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব। শনিবার রাতেই যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বুদ্ধদেব সাউকে। স্বাভাবিকভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব সংশয়, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হন বুদ্ধদেব সাউ। আর সেখানেই অনুষ্ঠান শেষে তাঁর চোখ চিকচিক করে উঠল অশ্রুতে, গলাও কেঁপে উঠেছে। যা কারও নজর এড়ায়নি।
এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বুদ্ধদেব সাউ হাজির ছিলেন অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নয়, অতিথি হিসাবে। হয়তো সেজন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে জলে ভিজে উঠল বুদ্ধদেববাবুর দু-চোখ। যদিও এই অশ্রু ‘আনন্দাশ্রু’ বলে উল্লেখ করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। তবে হঠাৎ করে অপসারণের ঘটনা যে তিনি ভালভাবে নেননি তাও বুঝিয়ে দেন।
এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সদ্য অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “ছাত্রদের হাতে যে অন্তত ডিগ্রিটা তুলে দেওয়া গেল, এটার জন্য আমার আনন্দ লাগছে। এই আনন্দে চোখে জল এসেছে।” একথা বলার সময় তাঁর গলাও কেঁপে ওঠে। রুমাল দিয়ে চোখ মুছতেও দেখা যায়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ করে তাঁর অপসারণ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “এটার আপনারাই বিচার করুন। সমাজ তো দেখছে। আপনারাই বিচার করুন। সুধীর সমাজের উপর আমার বিশ্বাস আছে। তারাই বিচার করবে।” শীতকালীন ছুটি শেষে উপাচার্যের দফতরে যাবেন কি না বা কোনও পদক্ষেপ করবেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে বুদ্ধদেব সাউয়ের জবাব, “আপাতত কয়েকদিন বিশ্রাম নেব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।”