কলকাতা: স্বপ্নদীপ কুন্ডুর রহস্যমৃত্যুতে সকাল থেকেই উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। তিন তলা থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের। হস্টেলের আবাসিকদের কথায় সেটাই জানা গিয়েছিল। তবে তিনি নিজে ঝাঁপ দিয়েছেন নাকি কেউ ফেলে দিয়েছে তা নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানউতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের একাধিক ছাত্র সংগঠেনর তরফ থেকে উঠে আসতে থাকে নানা মত। স্বপ্নদীপের শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও শোনা যায়। এফআইআর দায়ের হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রুজু হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। নিজস্ব তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এরইমধ্যে সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রথামিক রিপোর্ট।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উপর থেকেই পড়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে। মাথার বাম দিকে রয়েছে আঘাত। বাম দিকের রিভ ও পেলভিস ভাঙা বলে জানা যাচ্ছে। শরীরের আর কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোনও উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গেলে শরীরে যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় স্বপ্নদীপের ক্ষেত্রেও তাই রয়েছে। মেলেনি আর কোনও অত্যাচারের চিহ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শেষ দুইদিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল স্বপ্নদীপ। এমনকী বুধবার রাতেও বাড়িতে ফোন করে সে যে ভয় পাচ্ছে সেকথা জানিয়েছিল স্বপ্নদীপ। সাংবাদমাধ্যমে আগেই এ কথা জানিয়েছেন স্বপ্নদীপের মামা। তাই কী কারণে সে সমস্যায় পড়েছিল, কেনই বা ভয় পাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ব়্য়াগিংয়ের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। অন্যদিকে এদিন বিকালেই যাদবপুরের মেন হস্টেলের ব্লক-এ-২ ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির ১০ সদস্যরা। যে জায়গায় দেহ পড়েছিল সেই জায়গায় ঘুরে দেখেন তাঁরা। সেই সময় ছিলেন খোদ ছিলেন ডিন-অফ-স্টুডেন্টস-সহ একাধিক অধ্যাপক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় যাদবপুরের তিন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময় রাতে ওই ছাত্রের সঙ্গে কারা কারা ছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়।