Jagdeep Dhankhar: একঘণ্টা ধরে মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক, নারী নিরাপত্তায় কী বার্তা দিলেন ধনখড়?
Dhankhar meets Chief Secretary: বৈঠকে উঠে আসে রাজ্যের একের পর এক নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, সাংবিধানিক শাসন যাতে বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।
কলকাতা : রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবক্ষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বুধবার বিকেল চারটের সময় রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃ্ষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। দুই জনের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বৈঠকে উঠে আসে রাজ্যের একের পর এক নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, সাংবিধানিক শাসন যাতে বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।
Guv Shri Jagdeep Dhankhar called upon CS @chief_west & DGP @WBPolice to take steps to curb rising crime against women; improve worrisome law & order situation & respond to pending issues. In hour long meeting Guv emphasized – constitutional governance is must & not optional. pic.twitter.com/VNYxU5WENY
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 13, 2022
মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকের পর একটি টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেছেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতির দিকে জোর দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, “সাংবিধানিক শাসনের কোনও বিকল্প হতে পারে না। সাংবিধানিক শাসন অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, হাঁসখালিতে মৃত নাবালিকাকে গণধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই সব বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সেই কারণেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজভবনে।
রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ছে প্রশাসনের। তার উপর কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালির ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে একটি তত্ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh on Article 356: ‘সরকার জনবিরোধী! রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির সময় এসেছে’, দাবি দিলীপের