
কলকাতা: বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করার কাজ শেষ। এবার ফর্ম সংগ্রহ করার পালা। এরই মধ্যে ‘এসআইআর’ শব্দটা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তাঁর মতে, স্পেশাল শব্দটা ব্যবহার করার কোনও আইনসঙ্গত যুক্তিই নেই।
‘ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা নিবিড় পরিমার্জন যে কয়েক বছর পর করার কথা বলা আছে আইনে, এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন জহর সরকার। তিনি বলেন, “বিশেষ কথাটিতে আপত্তি আছে অনেকের। এটা এই কমিশনের মাথা থেকে বেরিয়েছে।”
২০০২ সালে যখন নিবিড় পরিমার্জন হয়, সেই সময় নির্বাচন কমিশনে কর্মরত ছিলেন জহর সরকার। তিনি উল্লেখ করেন, সেই সময় এত জটিলতা ছাড়াই এসআইআর করা হয়েছিল। এবার পরিকল্পনামাফিক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন এই আমলা।
২৩ বছর আগের কথা উল্লেখ করে জহর সরকার জানান, সেই সময় পাড়ায় পাড়ায় একটি লিস্ট তৈরি করে লাগিয়ে দেওয়া হত। বাসিন্দারা গিয়ে দেখতেন, সেই লিস্টে নাম আছে কি না। পাশে থাকত একটি টেবিল। নাম না থাকলে সেখানে গিয়ে জানাতে হত। এরপর কিছু নথি বা প্রমাণ দিয়ে নাম তুলতে হত এসআইআর তালিকায়। তবে সেবার যে সময় একটু বেশি দেওয়া হয়েছিল, সে কথা জানিয়েছেন জহর সরকার। জহর সরকারের কথায়, “২০০২-এ কাউকে ভীত সন্ত্রস্ত করিনি। কেউ বুঝতে পারেনি তখন। এবার স্নায়ুর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।”