কলকাতা: ভোটের মুখে আবারও অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের শাসক শিবিরের। নিয়োগের দাবিতে ফের বিক্ষোভে, প্রতিবাদে সামিল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার দুপুরে কলকাতার রাজপথে মিছিলে নামেন ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরা। কলেজ স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। প্রতীকী শবদেহ নিয়ে চলে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। আর সেই মিছিল ঘিরেই ধুন্ধুমার ধর্মতলা চত্বর। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের তুমুল ধস্তাধস্তি। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে মিছিল ধর্মতলা থেকে শহিদ মিনারের দিকে এগোচ্ছিল। কাঁধে প্রতীকী শবদেহ নিয়ে মিছিলে হাঁটতে থাকেন তাঁরা। উঠতে থাকে ‘বলো হরি, হরি বোল’ ধ্বনি। ধর্মতলা থেকে শহিদ মিনারের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের আটকায় এবং তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু, সে কথা শুনতে রাজি ছিলেন না মিছিলে অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরই পুলিশের সঙ্গে একপ্রকার বচসা শুরু হয়ে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশের তরফে একাধিকবার সরে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় শেষে কার্যত চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে, তাঁদের দাবি-দাওয়ার সমর্থনে পা মিলিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারাও। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষও। তাঁকেও এদিন আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একটি প্রতিনিধি দল লালবাজারে যাওয়ার প্ল্য়ানিং করছেন এবং চাকরিপ্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।