কলকাতা: শেষমেশ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হল। কার্ডিওলজি, ইএনটি, মেডিসিন ও সাইকিয়াট্রির চিকিৎসকরা আছেন এই বোর্ডে। বিশেষ আদালতের নির্দেশ মেনে স্নায়ুরোগের চিকিৎসক ছাড়াই কালীঘাটের কাকুর জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল ইএসআই জোকা। খুব দ্রুতই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য কালীঘাটের কাকুকে এখানে আনা হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। ইডির হাতে কিছু অডিয়ো ক্লিপ এসেছে। প্রমাণ যাচাইয়ের জন্য তাঁর কণ্ঠের নমুনা পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইডির কাছে। আদালতও নির্দেশ দিয়েছে কাকুর স্বরের নমুনা পরীক্ষা করা হোক। প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালেই ইডি কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু সেখানে সাংঘাতিক অভিযোগ করে ইডি। কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পথে এসএসকেএম ও সেখানকার এমএসভিপি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করে তারা। আদালতের নির্দেশিকাতেও তার উল্লেখ ছিল। এরপরই ইএসআই কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই পরীক্ষা করানোর জন্য।
এ নিয়ে রাজনীতির আকচাআকচিও কম হয়নি। বাম-বিজেপি দাবি করে, এসএসকেএমে কাকুর কণ্ঠে অস্ত্রোপচার করে স্বরে কোনও বদল আনা হতে পারে। আর এসবের মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছিল। আর তার জন্য কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, ইএনটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বোর্ডও গঠন করতে বলেছিল আদালত। ইএসআই জোকাকে এই বোর্ড গঠন করতে বলা হলেও তা এক সপ্তাহে সম্ভব হয়নি। কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল, নিউরোলজির চিকিৎসকের অভাব। সূত্রের খবর, এবার সেই চিকিৎসক ছাড়াই কালীঘাটের কাকুর জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হল। সেখানেই গলা দেবেন কাকু।
ইএসআই জোকার প্রশাসনিক আধিকারিক উৎপল সরকার বলেন, “শুরুতে নিউরোলজিস্ট না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। তবে আদালত যখন নির্দেশ দিয়েছে নিউরোলজিস্ট ছাড়াই অন্যভাবে বোর্ড গঠন করতে পারি, আমরা সেভাবেই এগিয়েছি।”