বারাসত: রেশন দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার চালকল মালিক বাকিবুর রহমান সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে এসেছে। এবার নাম জড়াল এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ সামনে আসার পর চর্চা শুরু হয়েছে নিউ দিঘার চারটি হোটেল নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, বকলমে নাকি ওই চার হোটেলের মালিক ছিলেন বনমন্ত্রী তথা রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মালিকানা মন্ত্রীর হলেও অভিযোগ, বারাসতের নির্মাণ ব্যবসায়ী সম্রাট গুপ্তার নামেই চলে হোটেলগুলি। ইডি সূত্রেও সেই ইঙ্গিত মিলছে। মঙ্গলবার সকালে সঙ্গম মার্কেটে সেই ব্যবসায়ীর অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। তবে দেখা মিলল না ব্যবসায়ীর। ফোনে যোগাযোগ করা হলে অবশ্য শোনা গেল কন্ঠস্বর।
বারাসত কলোনি মোড়ের কাছে সঙ্গম মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কাঁচের দরজা লাগানো অফিসটাই
সম্রাট গুপ্তা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও জানালেন সে কথা। পৌঁছে দেখা গেল অফিস ফাঁকা। ভিতরে তেমন কেউ নেই। পাশের দোকানের এক যুবক জানালেন সম্রাট নাকি দিঘা গিয়েছেন। এরপরই সম্রাটের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় TV9 বাংলার তরফে।
ফোনে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অভিযোগের কথা তাঁর কানে এসেছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কী বক্তব্য, জানতে চাওয়া হলে সম্রাট জানান, তিনি অফিসে গিয়েই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সব নথি দেখাতে পারবেন। তবে অভিযোগের সত্যতা কতটা, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে সম্রাট বলে পরিচিত হলেও তাঁর ভাল নাম অমিত গুপ্ত।
উল্লেখ্য, দিঘার যে সব হোটেল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি চলে SAB Uddyog নামে এক সংস্থার নামে। সেই সংস্থার অফিস আবার এই বারাসতে সম্রাটের অফিসেই। TV9 বাংলার হাতে এসেছে সেই সংস্থার শিপ ডিড।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, সংস্থার অন্যতম পার্টনারের নাম শ্রাবণী কাশ্যপ। এই শ্রাবণী কাশ্যপ আবার আরও দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন, যে দুটি সংস্থায় ডিরেক্টর ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপাও। তবে কি সব সংস্থা মিলে যাচ্ছে এক বিন্দুতে!