কলকাতা: দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের হন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-কে। ৩ রা জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঘটে যাওয়া নাটকের যবনিকা পতন হয় রাত্রি ২টো বেজে ৫০ মিনিটে। ‘কালীঘাটের কাকুকে’ রাত্রি ৯টা ৫০ মিনিটে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে চলে তাঁর ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ এর প্রক্রিয়া। শেষে মধ্যরাতে বের করা তাঁকে।
সন্ধ্যেবেলা এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন ‘কাকু’। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পরও হুইলচেয়ারে বসে আবার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন তিনি। পুনরায় এসএসকেএম-এ ফিরে আনা হয় সুজয়কে।
তবে হাসপাতালে ফিরে আসার পরও চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসএসকেএম-এর গেট (এজেসি বোস ফ্লাইওভার এর দিকের গেট) বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ‘কাকুকে’। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ রাত্রি ৩টে ২০ নাগাদ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ মামলার তদন্তে এই কণ্ঠস্বর অতি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। তবে ‘কাকু’ শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছিলেন না ইডি আধিকারিকরা। এরপর বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ ‘কাকুর’ কণ্ঠের স্বর পরীক্ষা করা হয়।