কলকাতা: ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বুধবারই শুভেন্দু অধিকারীর কথা শোনা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। নারদকাণ্ডে শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছিলেন অভিষেক। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, নারদকাণ্ডে সকলকে গ্রেফতার করা হোক। আর তার শুরুটা হোক শুভেন্দুকে দিয়ে। প্রসঙ্গত, এই ‘সকল’-এর তালিকায় তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতা আছেন। এই নারদকাণ্ডেই গ্রেফতার হন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। অভিষেকের বুধবারের বক্তব্যের পরই মদন বলেন, “অভিষেক বাপের ব্যাটা। মমতার মতোই প্রতিবাদী চরিত্র। ঠিকই তো বলেছে। নারদ নিয়ে শুভেন্দুকে দিয়েই আবার শুরু হোক। আমাদের তো ডেকেছে। হাজত বাস করেছি। আদালতে এখনও যেতে হয়। শুভেন্দুর কিছু হবে না কেন?” একইসঙ্গে তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এজেন্সির ‘অত্যাচারে’ অনেকে মরেই গেল!
নারদতদন্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, “আমি, ববি, শোভন গ্রেফতার হয়েছি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ মরেই গেলেন। এই সব এজেন্সিদের অত্যাচারে একটা একটা করে লোক মরে যাচ্ছে। যদি অভিষেক বলে থাকে নারদ তদন্ত শুরু হোক, ঠিকই তো বলেছে।” একইসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছেন। তারপরও না চার্জশিট, না গ্রেফতার।”
২০১৬র বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির তরফে একটি স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে আনা হয়। সেখানে তৃণমূলের একাধিক নেতা, নেত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেবার ভোটে এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিজেপি। যে সমস্ত নেতাদের ফুটেজ সামনে আসে, শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিষেক শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, “নারদকাণ্ড কোনও কোরাপশন নয়, কন্সপিরেসি। একটা লোক ১৩ জনের কাছে গিয়েছিল ইলেকশনের সময়। সেটা নিয়েই বারবার বলা হচ্ছে।”