
কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার সব নোট। কালো টাকা আর সন্ত্রাসবাদের ওপর রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালের সেই ঘোষণার পর প্রায় ৬ বছর কেটে গিয়েছে। সেই দাবিতে এবার পড়ল প্রশ্নচিহ্ন! ঠিক আট বছরের মাথায় উপত্যকায় জঙ্গি হামলা। আর এবার টার্গেট পর্যটকরা। পর্যটকরা জঙ্গিদের শিকার, এ দৃষ্টান্ত কাশ্মীরে শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা স্মৃতি হাতড়েও মনে করা কঠিন। ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ের এই নৃশংসতা প্রশ্ন তুলে দিল একগাদা! এবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ।
TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কার্তিক মহারাজ বলেন, “নোটবন্দির সময়ে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। নোটবন্দি নিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভুল হয়েছে।”
কার্তিকের কথায়, “যে নকল নোট এসেছিল, নোটবন্দি করে সেটা হয়তো কিছুটা মোকাবিলা করা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও ২০০০ টাকার জাল নোট বাজারে ধরা পড়ে প্রচুর। কিন্তু পুরোটা হয়নি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে যত টাকা বেরিয়েছিল, সবটা ঢুকে গিয়েছে। এই হামলা ভারত সরকারের ব্যর্থতা।”
নোটবন্দির পর দেশে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর কালো টাকা। ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে সরকার। ভারত সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, কালো টাকার প্রভাবেই সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত চলছিল দেশে। নোটবন্দির পর তাতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ এসেছে। কিন্তু সেই দাবিতে উঠল প্রশ্ন চিহ্ন।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
হিন্দুদের বেছে বেছে খতম করেছে জঙ্গিরা। কপালে সিঁদুর দেখে, আধার-ভোটার কার্ড দেখে, এমনকি পোশাক খুলে ধর্মের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে জঙ্গিরা। তারপর হিন্দুদের বেছে বেছে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।