
কলকাতা: জঙ্গি তৈরি হয় মাদ্রাসাগুলোতে, বিশেষত খারিজি মাদ্রাসাগুলোতে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর বিস্ফোরক দাবি করলেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কার্তিক মহারাজ বললেন, “মাদ্রাসার শিক্ষা সম্পর্কে ভারত সরকারে সূচি-মতামত জানা দরকার। এই শিক্ষাব্যবস্থায় জঙ্গি তৈরি হয়। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে কাফের বলা হয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থায় একটা সম্প্রদায়কে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “এই শিক্ষা দিয়ে কখনও বলা হয় না, ডাক্তার হবে নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবে। সুতরাং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। যাঁরা জাতিয়তাবাদী মুসলিম, তাঁরা প্রত্যেকে রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ করুন।”
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসা’ শব্দটি শুনলে এখন অনেকের সামনেই ভেসে ওঠে ‘সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘর’, ‘শুধু আরবি আর কোরান শিক্ষা কেন্দ্র’। হয়েছে আলোচনা-জোর বিতর্ক। কিন্তু তার মধ্যেই পহেলগাঁওয়ের এই নৃশংসতা বিস্তর প্রশ্ন তুলে দিল। মাদ্রাসাগুলোকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথম, সরকার অনুমোদিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত হাই মাদ্রাসা ও সিনিয়র মাদ্রাসা, যার সব কিছুই সরকার নিয়ন্ত্রিত। দ্বিতীয় ধরনের মাদ্রাসাগুলি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত, কিন্তু সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত। তৃতীয় ধরনের মাদ্রাসাকে নিজামিয়া বা খারিজি মাদ্রাসা বলে, যার অর্থ ‘বাহির’। কার্তিক মহারাজ মূলত এই খারিজি মাদ্রাসার কথাই উল্লেখ করেছেন।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
হিন্দুদের বেছে বেছে খতম করেছে জঙ্গিরা। কপালে সিঁদুর দেখে, আধার-ভোটার কার্ড দেখে, এমনকি পোশাক খুলে ধর্মের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে জঙ্গিরা। তারপর হিন্দুদের বেছে বেছে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।