Kartik Maharaj: কাশ্মীরে ভারত সরকারের কী করা উচিত ছিল? পহেলগাঁও হিন্দু নিধনের পর মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজ

Kartik Maharaj: প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ— দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়।

Kartik Maharaj: কাশ্মীরে ভারত সরকারের কী করা উচিত ছিল? পহেলগাঁও হিন্দু নিধনের পর মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজ
পহেলগাঁও নিয়ে মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 23, 2025 | 4:38 PM

কলকাতা:  পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের ভূমিকা আর কিছু ‘না পারা’ নিয়ে সওয়াল করলেন  পদ্মশ্রী প্রাপক কার্তিক মহারাজ। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল হওয়াতে ভেবেছিলাম শান্তি নেমে আসবে। ভারত সরকারের উচিত ছিল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে আমাদের যাঁরা প্রাক্তন সেনাকর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা করা ও তাঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। সরকারকে আরও কঠোর চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে হবে।” তাহলে কি সীমান্তে এখনও সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে পারেনি ভারত সরকার? প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “নিশ্চয়ই নির্মূল করতে পারেনি বলেই হতভাগা মানুষগুলোকে বেছে বেছে মারা হল।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ— দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। ৩৭০ ধারা বাতিলের সময়ে মোদী সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, উপত্যকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন সেই দাবির সত্যতাও সামনে আসছিল। কিন্তু সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গেল ২২ এপ্রিলের নৃশংসতা। এই প্রথমে জঙ্গিরা টার্গেট করল পর্যটকদের!

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।

হিন্দুদের বেছে বেছে খতম করেছে জঙ্গিরা। কপালে সিঁদুর দেখে, আধার-ভোটার কার্ড দেখে, এমনকি পোশাক খুলে ধর্মের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে জঙ্গিরা। তারপর হিন্দুদের বেছে বেছে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে।

পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার রিসর্টে সেনার পোশাকে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা! ঠিক কী ঘটেছিল? ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হওয়া পর্যটকদের অনেকে বলছেন, প্রথমে সেনাবাহিনীর উর্দি পরে কয়েকজন সামনে আসে। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন তিন বাঙালি পর্যটকও।