
কলকাতা: কসবা আইন কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণের ঘটনায় আগেই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী। আর এবার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অর্থাৎ শনিবার ছিল শুনানি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক সৌভিক দে রায়দান স্থগিত রেখেছেন। আগামী ২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সওয়াল-জবাব পর্ব এক নজরে….
মূল অভিযুক্তের আইনজীবী: ৮২ দিন ধরে হেফাজতে আছে। ওঁর সঙ্গে আরও যে অভিযুক্ত ছিলেন, তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই আমার মক্কলেরও জামিন প্রার্থনা করছি।
মূল অভিযুক্তের আইনজীবী: মহিলা স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। তারপর অভিযোগ করছেন। (মূল অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা পূর্ব পরিচিত বোঝানোর চেষ্টা করেন)
এরপরেই পুরোনো একটি মামলার নথি ও তথ্য তুলে ধরেন মূল অভিযুক্তের আইনজীবীরা। তারপর তাঁরা আদালতে জানায়, মহিলা আগেও একটি অভিযোগ করেছিলেন। পরে সেটেলমেন্ট করে অভিযোগ তুলে নেন।
পাল্টা বিরোধিতা করেন নির্যাতিতার আইনজীবী।
কোর্টে নির্যাতিতার আইনজীবী: পুরোনো ওই মামলার সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগ নেই। অন্য একটি মামলার সঙ্গে গণধর্ষণের মত নৃশংস ঘটনা গুলিয়ে ফেললে হবে না।
এরপর নির্যাতিতার আইনজীবী বিচারকের সামনে ১৬৪ স্টেটমেন্ট তুলে দিয়ে বলেন, “কী কী ঘটেছিল সব আছে এতে। কতটা ভয়ঙ্কর দেখুন।”
এ দিন সরকারি আইনজীবীও জামিনের বিরোধিতা করেন। আগেও জমিন খারিজ হয়েছে অভিযুক্তের। পাশাপশি তিনি জানান, এই মামলায় চার্জশিট হয়েছে। বিচারকের সামনে মেডিক্যাল রিপোর্টের নথি দিয়ে ঘটনার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন। মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লিখিত আঘাতের চিহ্ন সহ বিস্তারিত দেখার অনুরোধ করেন বিচারককে। প্রসঙ্গত, কসবা ল কলেজে এক ছাত্রীকে ইউনিয়ন রুমে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ঘটনারই শুনানি ছিল এ দিন।