Kasba College: কসবা ল’কলেজে এখনও জ্বলজ্বল করছে মূল অভিযুক্তের নাম, উঠছে প্রশ্ন

Kasba College Physical Assault Case: প্রায় তিন মাস আগে খবরের শিরোনামে উঠে আসে কসবা ল'কলেজ। এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র তথা কর্মী কথা টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও তাঁকে দলের কেউ বলতে পরে অস্বীকার করে টিএসসিপি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Kasba College: কসবা লকলেজে এখনও জ্বলজ্বল করছে মূল অভিযুক্তের নাম, উঠছে প্রশ্ন
কসবা ল' কলেজের দেওয়ালে মূল অভিযুক্তের নামImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 18, 2025 | 3:04 PM

কলকাতা: এখনও কসবা ল’ কলেজের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের নাম। ধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত এখন জেলে। কিন্তু কেন এখনও নাম? প্রশ্ন উঠছে। সেখানে আবার আজব যুক্তি কলেজ কর্তৃপক্ষের। কলেজের বক্তব্য, পুজোর পর নাম মোছা হবে। এদিকে, গৃহীত হয়নি কলেজের সহ উপাচার্য নয়না চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র। তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের।

প্রায় তিন মাস আগে খবরের শিরোনামে উঠে আসে কসবা ল’কলেজ। এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র তথা কর্মী কথা টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও তাঁকে দলের কেউ বলতে পরে অস্বীকার করে টিএসসিপি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ ওঠে, কলেজেরই ইউনিয়ন রুমের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

এক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে বিধায়ক অশোক দেব-ছাড়াও আরও একাধিক তৃণমূল নেতা তথা টিএমসিপি নেতার ছবি সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। মূল অভিযুক্ত কলেজে যথেষ্টই প্রভাবশালী বলে আদালতে উল্লেখ করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত এখন জেলে। কিন্তু এখনও কলেজের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম।

এদিকে, বৃহস্পতিবারই কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে জানা গেল, প্রিন্সিপ্যাল ইস্তফাপত্র জমা করেছিলেন, তা গৃহীত হয়নি। গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রিন্সিপ্যাল আগের মতোই কাজ করে যাবেন। পাশাপাশি মূল অভিযুক্তের নাম পুজোর পর দেওয়াল থেকে মোছা হবে বলেও জানান তিনি।

গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট অশোক দেব বলেন, “আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুজোর সময়ে সকলের ছুটি রয়েছে। পুজোর পর মুছে দেবে।” এই নিয়ে এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, “এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ওরা কতটা শক্তিশালী,  যে এখনও ওদের নাম রয়েছে।”