Kasba Student Death: কসবার ছাত্রমৃত্যুতে রিসর্টের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ
খোগত সোমবার কসবার একটি বেসরকারি স্কুলের ৬ তলা থেকে পড়ে মারা যায় এক ছাত্র। দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
কলকাতা: স্কুলে নিহত ছাত্রের দেহ পৌঁছল কসবার বাড়িতে। দেহ পৌঁছনোর পরও এলাকায় চাপানউতর। মঙ্গলবার রাতে কসবা থানার সামনে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার উপর বসে পড়েন তাঁরা। মৃত্যুর পর এতটা সময় কেটে গেলেও কেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে কসবা। থানার গেট টপকেও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ বাধা দিলে তুমুল বচসা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সেই ফুটেজে দুপুর ২টো ২-এর পরের ফুটেজ আর পাওয়া যাচ্ছে না।
ফলে সোমবার দুপুর ২টোর পর কী হয়েছিল তা জানতে পাশের একটি রিসর্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার কথা ভাবছে পুলিশ। কারণ, স্কুলের যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ, তাতে ঘটনার আগে ওই দশম শ্রেণির পড়ুয়ার বারবার স্কুলের ৬ তলার বারান্দায় ঘোরাঘুরির ছবি দেখা গিয়েছে। তবে এরপর তার গতিবিধি আর ক্যামেরাবন্দি হয়নি। বারান্দার যে দিক থেকে ওই পড়ুয়া গত সোমবার পড়ে গিয়েছে, সেদিকে স্কুলের তরফে কোনও সিসিক্যামেরা নেই। তবে সেদিকে একটি রিসর্ট রয়েছে। পুলিশ সেই রিসর্টের ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইছে।
গত সোমবার কসবার একটি বেসরকারি স্কুলের ৬ তলা থেকে পড়ে মারা যায় এক ছাত্র। দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি, স্কুলে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হতো। স্কুলে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। এমনও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দিন ওই ছাত্রের দু’টি প্রজেক্ট নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সে একটি প্রজেক্ট নিয়ে যায়। তা নিয়ে ক্লাসে ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী-সহ চারজন সোমবার ঘটনাস্থলে যান। অনন্যা চক্রবর্তী জানান, ওই ছাত্রের মধ্যে একটা চাপা অভিমান ছিল। তার বাবা অত্যন্ত রাগী। স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন মা-ও। বাড়িতে নিয়মিত ঝামেলা লেগেই থাকত বলে দাবি অনন্যার। কমিশনের উপদেষ্টার দাবি, ঘটনার দিনও বাড়িতে বকুনি খেয়ে স্কুলে এসেছিল। স্কুলেও প্রজেক্ট না দেওয়ার জন্য বকা খায়। ওই ছাত্রের মনে অনেক অস্থিরতা ছিল বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এ দাবি মানতে নারাজ নিহত ছাত্রের পরিবার।