
কলকাতা: ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’ সেই বিখ্যাত স্লোগানের কথা মনে আছে? তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের ক্ষেত্রে কি বিষয়টা এমন দাঁড়াতে পারে? ‘এ চিঠি ঝুটা হ্যায়?’ কেন? তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই চেয়েও পিছু হঠলেন কীর্তি। ইসিএল-এ দুর্নীতির অভিযোগে দলেরই নেতার বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন কীর্তি। তারপরই আবার চিঠি লিখে জানালেন, কিছু তথ্যগত ভুল হয়েছে তাই এই চিঠিতে যেন গুরুত্ব না দেওয়া হয়।
বস্তুত, আসানসোল-দুর্গাপুরের এই সাংসদ ইসিএল-এর তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের একাংশের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই চেয়ে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে চিঠি দিয়েছিলেন গত ২৩ জুলাই। তা নিয়েই তৈরি হয় জল্পনা। কিন্তু এরপর যা হল তা ঘিরে তৈরি হল আরও বিতর্ক। কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে এরপর ফের চিঠি দেন কীর্তি। সেখানে লেখা, ‘আমার লেখা পূর্বতন চিঠিটি গ্রহণ করবেন না। ওই চিঠিটি আমি তুলে নিচ্ছি।’ শনিবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হাতে অস্ত্র পেয়ে যায় বিরোধীরা। তাঁদের দাবি তৃণমূলের চাপে পড়েই চিঠি তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন কীর্তি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “একে বলে থুতু ফেলে চাটা। আগে তাপস পালের দাদার কীর্তি দেখেছি। এখন কীর্তি আজাদের কীর্তি দেখছি। দিদিমণি গুতনি দিয়েছেন, সেই কারণে চিঠি তুলে নিয়েছেন। আত্মসম্মান নেই বলে এমন করছেন।” আবার রাহুল সিনহা বললেন, “তৃণমূলের মূল উদ্দেশ্য কাটমানি খাওয়া। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুরষ্কৃত নয় তিরষ্কৃত হবে।”
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই চিঠি তুলে নেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি নিজেই চিঠিতে জানিয়েছেন যে, আগের চিঠিতে কিছু তথ্যগত ভুল ছিল তাই চিঠি প্রত্যাহার করেছে। আর এই মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে এমনিও কোনও লাভ নেই।”