
কলেজে পড়ানোর সময় থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, কিন্তু সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ছিলেন না সুকান্ত মজুমদার। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়া। আর বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তিনি। বিজেপির হয়ে সরাসরি ময়দানে নামার পর থেকেই পুরোদমে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কাজ করেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘ সময়। মিটিং-মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সুকান্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি (উদ্ভিদবিদ্যা)-র অধ্যাপক ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের ছোটবেলা কেটেছে বালুরঘাটেই। সেখানেই পড়াশোনা। বালুরঘাটের খাদিমপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৯৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। ২০০৩ সালে বালুরঘাট কলেজ থেকে বটানি বিষয়ে স্নাতক হন সুকান্ত। এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে এমএসসি-র পাঠ সম্পূর্ণ করেন। ২০১৮ ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি করেন তিনি।
উদ্ভিদবিদ্যায় গবেষণা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর গবেষণাপত্রও রয়েছে। তবে বর্তমানে অধ্যাপনার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। এখনও অবশ্য সময়-সুযোগ হলে ক্লাসরুমে ঢুকে চক হাতে নিয়ে পড়াতে শুরু করেন তিনি। এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে।
একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র সদস্য ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আদতে অধ্যাপক হওয়ার পর ওয়েবকুপা কী, সেই বিষয়ে তাঁর বিশেষ ধারণা ছিল না। কোনও একটা সংগঠন বেছে নিতে হবে বলেই ওয়েবকুপাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে ওয়েবকুপা সম্পর্কে যোগাযোগ রাখার পর আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি তিনি।