
কলকাতা: ‘দেড় লক্ষ টাকার বেশি বেতন পাই… আমার কীই বা যোগ্যতা আছে।’ প্রকাশ্য়ে একবার এমন কথাই বলেছিলেন খোদ বিধায়ক অসিত মজুমদার। রাজ্যের এই বিধায়ক মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেন। কখনও মহিলা কর্মীকে দিয়ে পা টেপানোর ছবি ভাইরাল, কখনও সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব চলে আসে শিরোনামে। সম্প্রতি এসআইআর-এর শুনানি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। ২০১১ থেকে বিধায়ক পদে থাকা অসিত কতটা শিক্ষিত জানেন?
নিজের যোগ্যতা নিয়ে নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে অসিত মজুমদার, তিনি ২০১১ সাল থেকেই চুঁচুড়ার বিধায়ক। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর পার করে ফেলেছেন বিধায়ক পদে। ১৫ বছরে বারবার ভাইরাল হয়েছেন তিনি। ২০২৩-এ দেখা যায়, তৃণমূলনেত্রী রুমা রায় পাল অসিতের পা টিপে দিচ্ছেন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি একট স্কুলে গিয়ে অসিত এমন গালিগালাজ করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও একাধিক ঘটনায় বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিধায়ক।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিধায়ক পদে থাকা অসিতের রাজনীতি শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। প্রথমে ছাত্র পরিষদের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা অসিত পেশায় আইনজীবী। আদালতে চাকরিও করতেন তিনি। একসময় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “একটা চাকরি করতাম, ৪০-৫০ হাজার টাকা বেতন পেতাম। এখন বিধায়ক হয়ে দেড় লক্ষের বেশি বেতন পাই। বছরে বিমানে যাতায়াতের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে পাই। আমার কী এমন যোগ্যতা আছে!” জানা যায়, বিধায়ক হওয়ার আগে ব্যারাকপুর কোর্টে পেশকারের চাকরি করতেন তিনি।
২০২১-এর ভোটের আগে জমা দেওয়া হলফনামাতেও অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, আইনজীবী হিসেবে টাকা উপার্জন করেন তিনি। হলফনামায় বিএ-এলএলবি ডিগ্রির কথা জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার রামকৃষ্ণ শিক্ষা নিকেতনে পড়াশোনা করেন অসিত। সেখান থেকেই মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে নৈহাটির ৠষি বঙ্কিম কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রিষড়া বিধান কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে এলএলবি পাশ করেন।