
কলকাতা: গত কয়েক মাস ধরে ঘুরে-ফিরে শিরোনামে আসছেন হুমায়ুন কবীর। কখনও তাঁকে কংগ্রেস বিধায়ক বলে চিনতেন বাংলার মানুষ, আবার কখনও তিনি বিজেপি নেতা। কিছুদিন আগে পর্যন্তও যিনি তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে যাঁকে চিনতেন সাধারণ মানুষ, তিনি আজ ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’র চেয়ারম্যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তিনি। সেই হুমায়ুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী জানেন?
দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হুমায়ুন কবীর। একসময় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে রীতিমতো ওঠা-বসা ছিল হুমায়ুনের। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতাও গিয়েছিলেন তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে। মুর্শিদাবাদে তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব যে অনেক, তা তিনি বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। এমনকী নির্দলে লড়ে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন, এমন নজিরও গড়েছেন তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে। তবে সেই হুমায়ুন স্কুলের গণ্ডী পেরিয়ে কলেজে যাননি কখনও।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। সেই মসজিদের জন্য কোটি কোটি টাকা অনুদানও এসেছে তাঁর কাছে। পুরোদমে চলছে কাজ। তারপর নিজের দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। দল ঘোষণার মঞ্চ থেকে তিনি জানান, টাকার জন্য তাঁকে কখনও মিথ্যাচার করতে হয়নি। কারণ ছোট থেকেই ব্যবসার কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি। হুমায়ুনের দাবি, ছোটবেলায় পড়াশোনা করতে করতেই ব্যবসা করতেন তিনি।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন হুমায়ুন, তাতে উল্লেখ রয়েছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা। ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর ওপেন স্কুল অব মহারাষ্ট্র থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
হলফনামায় হুমায়ুন জানান, তাঁর ও তাঁর স্ত্রী নামে ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই রোজগার হয় পরিবারের। জানা যায় কনট্রাক্টর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করেন তিনি।