AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘এবার বাংলায় ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট’, সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার দিলীপ

রাজনৈতিক সচেতকদের বক্তব্য, যে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে তাঁর কীরকম সম্পর্ক, কতটা ঘনিষ্ঠতা, তা পুলিশি তদন্তের বিষয়।

'এবার বাংলায় ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট', সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার দিলীপ
ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে দেবাঞ্জন দেবের বক্তব্য
| Updated on: Jun 25, 2021 | 12:34 PM
Share

কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির (Kasba False Vaccination Camp) নিয়ে এবার সামাজিক মাধ্যমে মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি লিখেছেন, “এত দিন অন্য সব বিষয়ে সিন্ডিকেট চলছিল। এখন ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট চলছে। ভুয়ো ভ্যাকসিন পুরো সাজানো। এতে তৃণমূলের লোক যুক্ত।”

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই প্রথম থেকে চড়া সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দেবাঞ্জনের সঙ্গে একাধিক ছবিতে তৃণমূল নেতাদের দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি তালতলার ফলকেও তৃণমূল নেতার নামের পরই ছিল দেবাঞ্জনের নাম। দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, “এখানে এসএসসি, টেট, সিভিক পুলিশের চাকরির জন্য পয়সা নেওয়া হয়। ভ্যাকসিন পড়ে থাকছে, দেওয়া হচ্ছে না। তার উদ্দেশ্য ক্রাইসিস তৈরি করা। হাতবদল হয়ে চড়া দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজনীতির রং লাগে, যখন  ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মূল চক্রী দেবাঞ্জনের  ছবি প্রকাশ্যে আসে। ফিরহাদ, সুদীপ-নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে এক সারিতে নাম রয়েছে দেবাঞ্জনের- বিতর্ক ঢাকতে পাথরে খোদাই করা সেই নাম আবার মোছা হয়েছে কালো কালিতে। তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে আগেভাগেই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে যদি রাজ্যের নেতানেত্রীদের নাম কিংবা ছবি থাকে, তাতে রাজনীতি রং লাগবেই। আর তাকে ইস্যু করবেন বিরোধীরা। এর আগে সারদা-নারদার ক্ষেত্রেও এরকম বিষয়টি দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: যাঁদের অস্তিত্বই নেই দুনিয়ায়, সেরকম দুই আধিকারিকের নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলেছিলেন দেবাঞ্জন!

রাজনৈতিক সচেতকদের বক্তব্য, যে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে তাঁর কীরকম সম্পর্ক, কতটা ঘনিষ্ঠতা, তা পুলিশি তদন্তের বিষয়। তবে আরও একটি বিষয়, অভিযুক্তরা নেতা-নেত্রীদের কাছে আসতে পারছেন, কিংবা সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারছেন, তার পিছনে কোনও পারিষদেরই হাত থাকতে পারে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তবে তৃণমূল বলছে, কোনও অনুষ্ঠানে এসে কেউ পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে, তাঁর পরিচয় জানা সবসময় সম্ভব নয়। এই বিষয়টিতে দ্বিমত নন বিশ্লেষকরাও। কারণ কোনও অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার প্রবণতা থাকে অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যেই। সেক্ষেত্রে সেই সকল আম জনতার মধ্যে কোনও অসাধু ব্যক্তিও থাকতেই পারেন, যাঁরা ওই ছবিটিকে নিজের অসৎ কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দেবাঞ্জনও সেরকমই একজন হয়ে থাকতে পারেন। তবে গোটাটাই তদন্তের বিষয়। ইতিমধ্যেই একাধিক তৃণমূল নেতার নাম পুলিশের কাছে করেছেন দেবাঞ্জন।