Kolkata Doctor Protest: ‘খাচ্ছি-দাচ্ছি মাইনে পাচ্ছি’, চেয়ার না পেয়ে মাটিতে বসে আছেন পদহীন চিকিৎসক

Kolkata Doctor Protest: তাঁর আরও অভিযোগ, শতাধিক বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল অফিসার এই ভাবেই মাসের পর মাস পদহীন চাকরি করছেন স্বাস্থ্য ভবনে। কাজ না করিয়েই তাঁদের বেতন দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের বক্তব্য, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ঘাটতি রয়েছে।

Kolkata Doctor Protest: খাচ্ছি-দাচ্ছি মাইনে পাচ্ছি,  চেয়ার না পেয়ে মাটিতে বসে আছেন পদহীন চিকিৎসক
চিকিৎসকের ধরনা Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 07, 2025 | 5:23 PM

কলকাতা: ‘আসি যাই মাইনে পাই…।’ ঠিক এই অভিযোগ করলেন এবার এক চিকিৎসক। শুধু অভিযোগই করলেন তা নয়, স্বাস্থ্য ভবনে অভিনব প্রতিবাদেও সামিল হলেন চিকিৎসক গৌরাঙ্গ সুন্দর জানা। ‘চেয়ারহীন ডাক্তার’ পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে ধরনা চিকিৎসকের।

কী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ওই চিকিৎসকের? মেডিক্যাল অফিসার গৌরাঙ্গবাবুর দাবি, সাড়ে পাঁচ মাস আগে পোস্টিং ছাড়াই বদলি হন স্বাস্থ্য ভবনে। পদ ছাড়া বদলি হ‌ওয়ায় গত সাড়ে পাঁচ মাস ধরে আসছেন, যাচ্ছেন আর মাইনে পাচ্ছেন গোছের চাকরি করছেন। যেহেতু কোনও পদ নেই, সেই কারণে চিকিৎসকের বসার চেয়ার টেবিল‌ও নেই।

তাঁর আরও অভিযোগ, শতাধিক বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল অফিসার এই ভাবেই মাসের পর মাস পদহীন চাকরি করছেন স্বাস্থ্য ভবনে। কাজ না করিয়েই তাঁদের বেতন দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের বক্তব্য, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ঘাটতি রয়েছে। এরপর‌ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের গাফিলতিতে বিনা কাজে স্বাস্থ্য ভবনে দিন কাটাচ্ছেন শতাধিক মেডিক্যাল অফিসার।

অভিযোগকারী ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোজ আসছেন। চা-বিড়ি-সিগারেট খাচ্ছেন। আড্ডা মেরে চলে যাচ্ছেন। এই টেবিল, ওই টেবিল ঘুরে, বাইরে ঘুরে বেরিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। একদিকে বলা হচ্ছে, চিকিৎসক নেই। অথচ এই পদের অফিসার চিকিৎসকরাই জেলা হাসপাতালে সুপার পদে কাজ করেন। আবার হাসপাতালে, মেডিক্যাল কলেজের এমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসার তাঁরাও। গাইনি, সার্জারিতে স্পেশালাইজড চিকিৎসক‌ও এর মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি অভিযোগকারী চিকিৎসকের। তিনি বলেন, “আমি ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ সালে যোগদান করেছি। কিন্তু আমি টেবিল চেয়ার পাইনি। বসিয়ে-বসিয়ে মাইনে দিচ্ছে আমায়। এমন প্রচুর চিকিৎসক করছেন। আমাদের বসার জায়গা নেই। ঘুরে বেড়াই। প্রতিদিন দশটা থেকে সাড়ে পাঁচটা এইভাবেই সময় কাটাচ্ছি। কখনও ঘুরছি। কখনও সিগারেট খাচ্ছি।”