নাড্ডার কনভয়ে ‘হামলা’: মুখ্যসচিব-ডিজিপিকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, দিল্লিতে রিপোর্ট রাজ্যপালের

গোটা ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসের দিকে আঙুল তুলে তিনি লিখেছেন, মানবাধিকার দিবসে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক।

নাড্ডার কনভয়ে 'হামলা': মুখ্যসচিব-ডিজিপিকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, দিল্লিতে রিপোর্ট রাজ্যপালের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট তলব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2020 | 2:22 PM

কলকাতা: ডায়মন্ডহারবারে সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) কনভয়ে ‘হামলা’র ঘটনায় এবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজি বীরেন্দ্রকে তলব করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সকালেই বৃহস্পতিবারের সামগ্রিক ঘটনার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য প্রশ্সনের এই দুই শীর্ষ পদাধিকারীকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগেই নাড্ডার নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর রিপোর্টও তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ঘটনা ঘটে যায়।

গোটা ঘটনার নিন্দা করে বৃহস্পতিবারই টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসের দিকে আঙুল তুলে তিনি লিখেছেন, মানবাধিকার দিবসে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্যপাল আরও লেখেন, “ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা সংবিধানের পক্ষে অবমানননাকর। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে আগেও সতর্ক করেছি। তা সত্ত্বেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।”

ডায়মন্ডহারবারের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যে চারিদিকে দুর্নীতি। বিরোধীরা প্রতিবাদের জায়গাই পাচ্ছে না। নৃশংসভাবে বিরোধীদের কার্যকলাপ দমন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়েছি। এমন ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না।”

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, “আমি সংবিধানের দায়িত্ব পালনের শপথ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন না।”  মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, ” একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এমন মন্তব্য করেন। উনি ক্ষমা চাইলে ওঁরই সম্মান বাড়বে। আমাদের গণতন্ত্র মূল্যবান।”

রাজ্যপালের চিঠির ভিত্তিতেই মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এদিকে এই ঘটনায় ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর দু’দিনের জন্য কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ওপর ‘হামলা’র প্রেক্ষিতে রাজনৈতিকভাবে জবাব দিতেই শাহ-র এই বাংলা সফর।