বিধানসভার সর্বদল বৈঠকে ব্রাত্য নওসাদ, ক্ষোভ উগরে চিঠি স্পিকারকে
বিধানসভায় এ বার বাম ও কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র বিধায়ক হয়েছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) নওসাদউদ্দিন সিদ্দিকি।
কলকাতা: আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে সোমবারই বিধানসভায় হয়ে যায় সর্বদলীয় বৈঠক। কিন্তু তাতে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। এক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন নওসাদ (Nowsad Siddiqui)। এবার গোটা বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি লিখছেন তিনি।
বিধানসভায় এ বার বাম ও কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র বিধায়ক হয়েছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) নওসাদউদ্দিন সিদ্দিকি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে আইএসএফ বিধায়কের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে বিধানসভার কমিটিতে। কিন্তু বিধানসভার সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকাই হয়নি নওসাদ সিদ্দিকিকে।
তাঁর বক্তব্য, “বৈঠকে আমাকে অফিসিয়ালি কোনও কল, মেইল বা টেক্সট করে আসার জন্য জানানো হয়নি। যেহেতু আমাকে জানানো হয়নি, তাই আমিও বৈঠকে যাই নি। তবে এই বিষয়টা নিয়ে আমি স্পিকার মহাশয়কে জানাব। আমি সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই আমার প্রতি কেন এই বঞ্চনা হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করব। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে আমাকে সাইড করে দেওয়া হচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেকক্ষেত্রেই সর্বদল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হারে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেক্ষেত্রে নওসাদ বিধানসভা নির্বাচনের সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রতিনিধি। তবে কি একমাত্র বিধায়ক হওয়ায় ডাক পাননি তিনি। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য এই সর্বদল বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন কালিম্পঙের বিধায়ক রুডেন সদা লেপচাও।
আরও পড়ুন: ‘বেহালা বাজানো সেই লোকটা’কে উপহার পুলিশ কমিশনারের
এদিকে, এদিনের বৈঠকে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সোমবার দুপুর ১.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় এই সর্বদলীয় বৈঠক। এই বৈঠক ও বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকের জন্যে বিজেপি ৬ জনের নাম পাঠায়। তাতে নাম ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন দুপুর ২’টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও স্পিকারের চেম্বারে না গিয়ে তাঁকে নিজের ঘরেই বসে থাকতে দেখা যায়।