Kolkata Police: পুলিশের ঘাতক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে FIR করতে সময় ২৪ ঘণ্টা, আর সেনার গাড়িতে মাত্র ৪ ঘণ্টা?

Kolkata Police: মঙ্গলবার শওকত মোল্লার কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। তাতে পুলিশের ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো-সহ সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে।

Kolkata Police: পুলিশের ঘাতক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে FIR করতে সময় ২৪ ঘণ্টা, আর সেনার গাড়িতে মাত্র ৪ ঘণ্টা?
বাঁ দিকে সেনার গাড়ি, ডানদিকে, পুলিশের কনভয়ের গাড়িImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 03, 2025 | 1:38 PM

কলকাতা: পরপর দুটি ঘটনা! মেয়ো রোডে সেনার ট্রাকের বিরুদ্ধে সিগন্যাল ভাঙার অভিযোগ। সেনার ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে সময় ৪ ঘণ্টা! আর তার আগেই ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু। সেই গাড়ি আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ। সেই পুলিশের গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে সময় লেগে গেল প্রায় ২৪ ঘণ্টা! কিন্তু কেন? তা নিয়ে এবার বিতর্ক তুঙ্গে।

মঙ্গলবার শওকত মোল্লার কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। তাতে পুলিশের ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো-সহ সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। আবার খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সেই গাড়ির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে আগেই। প্রশ্ন উঠছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি কেন কনভয়ে ব্যবহার করা হয়েছে? তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন,ঠিক তার পরই মঙ্গলবার সকালে মেয়ো রোডে সেনার ট্রাক আটকায় কলকাতা পুলিশ। সিগন্যাল না মানার অভিযোগ ওঠে।

হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের এক ট্র্যাফিক সার্জেন্টের করা অভিযোগের ভিত্তিতে চালকের বিরুদ্ধে হেয়ারস্ট্রিট থানায় ২৮১ BNS এ মামলা রুজু হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি এতটা তৎপরতা থাকে, তাহলে পুলিশের গাড়ির থেকে, যেখানে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটে গিয়েছে, সেই অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে FIR করতে ২৪ ঘণ্টা সময় লেগে গেল কেন? তিনি পুলিশের গাড়ি চালান বলে?  শুধু তাই নয়, গাড়ি ১৬ বছরের পুরনো। মোটর ভেহিকেলসের তরফ থেকে সেই গাড়িটিকে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। তারপরও কলকাতা পুলিশের পাইলট কার হিসাবে কীভাবে চলছিল গাড়িটি?  প্রশ্ন বিরোধীদের।

জানা গিয়েছে, পুলিশের গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কারণ দুর্ঘটনায় ওই চালকও আহত হয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিসি ট্রাফিক ইয়েলওয়াদ শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লোকাল থানা তদন্ত করছে। তথ্য বেরোবে।”

এদিকে, সেনার গাড়িকে যে কারণে আটকানো হয়েছিল মেয়ো রোডে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে, সেনার গাড়ির পিছনে যে লাল গাড়িটা আসছিল, সেও সিগন্যাল অমান্য করে ডান দিকেই টার্ন নেয়। অর্থাৎ ওই একই কারণে দুষ্ট। কিন্তু সেনার গাড়ির বিরুদ্ধে কেন কেবল ব্যবস্থা? প্রশ্ন বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য, মেয়ো রোডের মঞ্চ খোলার বিষয়টা না ঘটলে, এই বিষয়টা নিয়ে কি এত তৎপরতা দেখাত কলকাতা পুলিশ?