Kolkata police: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ, হরিয়ানা থেকে ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের

Kolkata police: পুলিশ জানিয়েছে, একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে। গত ১৫ মে গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেইমতো তাঁকে নোটিস পাঠানোর চেষ্টা করা হয়।

Kolkata police: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ, হরিয়ানা থেকে ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের
শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে হেফাজতে নিতে বাংলায় আসছে অসম পুলিশImage Credit source: Social Media

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 31, 2025 | 4:24 PM

কলকাতা: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে এক ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার তরুণীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত তরুণীর নাম শর্মিষ্ঠা পানোলি। তিনি পুনেতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়েছে। শনিবার ওই ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে। গত ১৫ মে গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেইমতো তাঁকে নোটিস পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে নোটিস পাঠানো যায়নি, কারণ তিনি বাবা-মার সঙ্গে ফেরার ছিলেন। এরপরই আদালতের নির্দেশে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বাইশের শর্মিষ্ঠা। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলিউড অভিনেতারা চুপ কেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পুনের এই ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার। সেই পোস্টের বিরোধিতা করেন অনেকে। তখন ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। ক্ষমাও চান। তার আগেই অবশ্য কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়ে যায়।

আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার পরোয়ানা জারির পর শুক্রবার গুরুগ্রামে যায় কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়। শর্মিষ্ঠাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল তাঁর সওয়ালে বলেন, এই মন্তবের পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা জানা দরকার। পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন। আরও জেরা করতে হবে। কারা নেপথ্যে রয়েছে, জানা দরকার।

অন্যদিকে, শর্মিষ্ঠার আইনজীবী বলেন, নিজের মন্তব্যের জন্য তাঁর মক্কেল ক্ষমাও চেয়েছেন। তারপরও তিনি হুমকি পাচ্ছেন। তরুণী একজন আইনের ছাত্রী। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কাস্টডিতে রাখার প্রয়োজন নেই। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। তদন্তে সহযোগিতা করবেন তাঁর মক্কেল। দুই পক্ষের সওয়াল শেষে বিচারক শর্মিষ্ঠাকে ১৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।