কলকাতা: বিহারের মুঙ্গের (Munger) থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসার তত্ত্ব অতীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল। আর এবার এক মুঙ্গের-গ্যাং-এর বেআইনি পিস্তলের কারবারের পর্দাফাঁস হল। গোপন সূত্র মারফত কলকাতা পুলিশের স্পেশাস টাস্ক ফোর্সের (STF, Kolkata Police) কাছে এই বন্দুকবাজ দলের খবর ছিল। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সেই কথা জানিয়েছিল বিহারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সকে (STF, Bihar Police)। আর তারপরই বুধবার বিকেলে কলকাতা পুলিশ ও বিহার পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক যৌথ অভিযান চলে বিহারের বৈশালীতে। অভিযানে দুই রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা ছাড়াও ছিলেন বৈশালী জেলা পুলিশের পদস্থ অফিসাররাও। বিহারের বৈশালী জেলার কার্তাহন থানা এলাকায় লালা নাথ বাবা চক এলাকায় এক ইটভাঁটায় লুকিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয় দুই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফে। আর সেই অভিযান থেকেই বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
ইটভাঁটার মালিক সহ পাঁচজন কর্মীকে এই বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আপাতত ধৃতদের কার্তাহন থানায় রাখা হয়েছে এবং আগামিকাল বৈশালী আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হবে। ধৃতরা সেখানে ইটভাঁটার আড়ালে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা কারবার ফেঁদে বসেছিল। এদিন সন্ধেয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযানে ১০টি অর্ধেক তৈরি করা ৭এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০টি করে পিস্তলের স্লাইড, পিস্তলের বডি, গ্রিপ ও পিস্তলের ব্যারেলও বাজেয়াপ্ত করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এছাড়া, গ্রাইন্ডিং মেশিন, ড্রিলিং মেশিন-সহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির আরও অন্যান্য সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে ইটভাঁটা থেকে।
এদিকে বুধবারের এই বিশেষ অভিযানে ইটভাটার মালিক সহ যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এরা প্রত্যেকেই বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রত্যেকেই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজে সিদ্ধহস্ত। ধৃতদের নাম রঞ্জন কুমার, গুলশন কুমার সিং, মহম্মদ কামালউদ্দিন, মহম্মদ মুন্না ও মহম্মদ পারভেজ ওরফে ক্রান্তি। এদের মধ্যে ইটভাঁটার মালিক রঞ্জন কুমারের বাড়ি মুঙ্গেরের গঙ্গাপুলে। বাকিদের মধ্যে গুলশন, কামালউদ্দিন ও পারভেজের বাড়ি মুঙ্গেরের মুফ্ফাসিলে এবং মুন্নার বাড়ি মুঙ্গেরের কাশিমবাজারে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আগামিকাল বৈশালী আদালতে পেশ করবে কার্তাহন থানা পুলিশ।