AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata: ‘মাঝেমধ্যে আড়চোখে আমাকে দেখছিল, আর হাসছিল…’, ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত স্বামী আদতে তাঁর স্ত্রীর চোখে কেমন? জানালেন স্ত্রী নিজেই

Newtown: বিয়ের পরই স্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আগেও একটা বিয়ে করেছিলেন। জেল খেটেছিলেন। আর এখন ধর্ষণ খুনের দায়ে ধরা পড়েছেন! কতটা নৃশংস তাঁর স্বামী, গত দু'বছরে তিনি কী দেখেছিলেন, তা জানালেন TV9 বাংলার কাছে।

Kolkata: 'মাঝেমধ্যে আড়চোখে আমাকে দেখছিল, আর হাসছিল...', ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত স্বামী আদতে তাঁর স্ত্রীর চোখে কেমন? জানালেন স্ত্রী নিজেই
অভিযুক্তের স্ত্রীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2025 | 3:12 PM
Share

কলকাতা: স্বামী ধর্ষণ খুনে অভিযুক্ত। এর আগেও তাঁর একটা বিয়ে করেছিলেন স্বামী। আগেও ৮ মাস জেল খেটেছেন স্বামী। এত বড় একটা কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারপরও নির্বিকার!   নিউটাউনের কিশোরীকে ধর্ষণ খুনে ধৃত টোটোচালকের স্ত্রীই জানাচ্ছেন, তাঁর স্বামী আদতে কেমন! আরজি করে সঞ্জয় রায়ের সাজা নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য, যখন তাঁর ফাঁসির দাবিতে চলছে নতুন লড়াই, তখন সামনে আসে নিউটাউনের ধর্ষণ খুনের ঘটনা, যার নৃশংসতাতেও চমকে উঠছে বাংলা। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি শিউরে ওঠার মতো। অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীর সামনেই জানিয়েছেন, আধমরা করে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। কতটা নৃশংস! কতটা বিকৃত মানসিকতার! স্ত্রীর চোখে তাঁর স্বামী কেমন?

অভিযুক্ত টোটোচালকের বয়স বছর বাইশ। আর তাঁর স্ত্রী বছর কুড়ির আশপাশেই হবে। বছর দুয়েক হয়েছে বিয়ের। বিয়ের পরই স্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আগেও একটা বিয়ে করেছিলেন। জেল খেটেছিলেন। আর এখন ধর্ষণ খুনের দায়ে ধরা পড়েছেন! কতটা নৃশংস তাঁর স্বামী, গত দু’বছরে তিনি কী দেখেছিলেন, তা জানালেন TV9 বাংলার কাছে।

ধৃতের স্ত্রী বললেন, “আমাদের তো যা বলল বলল… নীচু হয়েই তাকিয়ে ছিল। মাঝেমধ্যে আড় চোখে দেখছিল। মনে হচ্ছিল মারি। কিন্তু মারতে পাচ্ছিলাম না। ও কীরকম, এত বড় একটা কাজ করে এসেছে, ওকে সই করতে ডেকেছিল। হাত পিছনে বাঁধা ছিল বলে সই করতে পারছিল না, ও হাসছে। ওর মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।”

স্ত্রীই চান, তাঁর স্বামী যেন জেল থেকে ছাড়া না পান। তাহলে আরও কোনও মায়ের কোল খালি হতে পারে। তিনি বলেন, “ওর বিয়ে হয়েছিল আগে, জানতাম না। ও যদি জীবনে জেল থেকে বেরোয় না, ও কোনও মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এক মায়ের কোল খালি করেছে, আবার না কারোর কোল খালি করে ও। ২ বছর বিয়ে হয়েছে. ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি।”

ইতিমধ্যেই স্ত্রীর সামনে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন ধৃত। অভিযুক্ত জানিয়েছেন,  ঘটনার রাতে কিশোরী টোটোয় ওঠার পর তিন ঘণ্টা তাকে নিয়ে নিউটাউনের রাস্তায় টোটোয় নিয়ে ঘুরেছিলেন তিনি। সেই সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে পুলিশের হাতে। তাতে টোটোয় কিশোরীকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি, টোটোর স্প্রিং গলায় পেঁচিয়ে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর ধর্ষণ। তারের বেড়া কেটে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলে আসেন দেহ। অভিযুক্তকে মহিলাদের কাছেই ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী।