Kolkata Rain: কেন জল কমছে না কলকাতায়? যুক্তি দিয়ে বোঝালেন ফিরহাদ
Firhad Hakim on Kolkata Rain: সেখান থেকে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র বলেন, 'নদী উপচে পড়ছে। খালে জল ফেলছি, তা আবার ঘুরে চলে আসছে। সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি ঠিক হলেও হতে পারে। আর আমরা যেখানেই জল ফেলি, তা পড়বে কলকাতার খালগুলোয়। তারপর তা যাবে নদীতে। সেখান থেকে সমুদ্রে। কিন্তু এই সবগুলোই টইটম্বুর হয়ে রয়েছে।'

কলকাতা: জলমগ্ন কলকাতা। বিধ্বস্ত জনজীবন। ফিরহাদ চাইলেন সময়। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতের জেরে শহর জুড়ে বিপর্যয় পরিস্থিতি। কার্যত বন্য়া পরিস্থিতি বললেও ভুল হবে। জলে জলাকার। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের কাছে সময় চাইলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। সাধারণ বৃষ্টি হলে কলকাতা জল জমার কথা নয়। কিন্তু যে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে তা অস্বাভাবিক। আমরা বিশ্বাস, যদি আর প্রবল বৃষ্টি না হয়, তা হলে আজ রাত ১০টার মধ্যেই সমস্ত জল নেমে যাবে।’ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার এই বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার। যার জেরে জনজীবন একেবার বিধ্বস্ত। ডুবে গিয়েছে গোটা শহর।
মঙ্গলবার সাতসকালেই জলমগ্ন শহর পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি। কোমর অবধি জল নিয়ে রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তারপর সরাসরি চলে গিয়েছিলেন কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র বলেন, ‘নদী উপচে পড়ছে। খালে জল ফেলছি, তা আবার ঘুরে চলে আসছে। সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি ঠিক হলেও হতে পারে। আর আমরা যেখানেই জল ফেলি, তা পড়বে কলকাতার খালগুলোয়। তারপর তা যাবে নদীতে। সেখান থেকে সমুদ্রে। কিন্তু এই সবগুলোই টইটম্বুর হয়ে রয়েছে।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমি কলকাতাবাসীকে আজ বাড়ি থেকে বেরবেন না। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের তরফ থেকে পাওয়ার অফ ছিল। কিন্তু তারপরেও মিটার শর্ট সার্কিটের মতো ঘটনার কারণে এমন ঘটেছে। আমাদের যে পাইপগুলো রয়েছে, তা দিয়ে জল যাওয়ার একটা ক্ষমতা রয়েছে। ২০ এমএম পার ঘণ্টা। সেখানে ৩০০ এমএম জল যেতে অনেক সময় লাগে। আর জল যখনই ফেলছি, তখনই তা আবার ঘুরে ফিরে আসছে। আশা রাখছি প্রবল বৃষ্টি না হলে রাত ১০টার মধ্য়ে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।’
